বিয়ে জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রায় সময়ই কোন পেশার মেয়ে বিয়ে করবে— এই সিদ্ধান্তহীনতায় দিশেহারা অনেক ছেলেদের আমরা দেখতে পাই। এছাড়া আমাদের ইনবক্সেও প্রতিদিনই আসে এমন প্রশ্ন। তাদেরকে গাইডলাইন দিতেই আমাদের আজকের এই লেখাটি। গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযোগী এবং উপকারী হচ্ছে ডাক্তার মেয়েরা (কিংবা মেডিকেলে পড়ছে এমন)। চলুন জেনে আসি যে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি কারণে ডাক্তার মেয়ে বিয়ে করবেন!
১. বিয়ের পর অন্যসব মেয়েদের মতো শ্বশুর শ্বাশুড়িকে বাবা-মা/আব্বু-আম্মু ডাকতে একদমই সমস্যা হয় না এদের। এরা দিনের মধ্যে হাসপাতালে অসংখ্য বার অসংখ্য রোগীকে বাবা-মা ডাকে। সুতরাং, নতুন করে আবার কাউকে বাবা মা ডাকতে এদের খারাপ লাগে না, বরং নতুন কাউকে পেয়ে এরা খুশিই হয়।
২. পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এদের মেকাপ এবং ফ্যাশন সেন্স কম থাকে। এই সেন্স কম থাকায় আপনার যা সুবিধা হবে সেটা হলো আপনি সস্তায় পার পেয়ে যেতে পারবেন। লরিয়েলের মেকাপ প্রোডাক্টের জায়গায় নকল গোল্ডেন রোজ কিনে দিলেও এদের বেশি কিছু আসবে যাবে না। আর যদি মুখ ফুটে বলার আগেই নিজ থেকে কিনে দেন তাহলে আপনি 'স্বামী নাম্বার ১' হিসেবে আখ্যাও পেয়ে ফেলতে পারেন। শুধু সাজার পরে প্রশংসা করতে ভুলবেন না (ভুলে গেলে কিন্তু শেষ!)
৩. এদেরকে সপ্তাহে সপ্তাহে শপিংয়ে নিয়ে যেতে হবে এমন না। যেটা পরে রাতে ঘুমায় সেটার উপরেই সকালে এপ্রোন চেপে ভাইভা বোর্ডে চলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা এদের আছে। সুতরাং দিনের পর দিন এক জামা কাপড়েই এরা খুশি মনে পার করে দিতে পারবে।
৪. এদের সারাজীবন পরীক্ষা থাকায় রাত জাগতে জাগতে অভ্যস্ত। গভীর রাতে বাচ্চা কান্নাকাটি করে যখন ঘুমাতে দিবে না তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে আপনার স্ত্রী। যেহেতু এদের রাত জেগে জেগে অভ্যাস, এরা বাচ্চা নিয়ে বসে থেকে আপনাকে ঘুমানোর সুবর্ণ সুযোগ করে দিবে যা অন্যান্য ক্ষেত্রে খুবই দুর্লভ।
৫. এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই চোখের নিচে কালি, মুখে ব্রণ, টাক সমস্যা, টেবিল চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে দুইশো স্তরের ভুড়িজনিত সমস্যা দেখা যায়। মোটকথা, যত্নের অভাবে সৌন্দর্যের দিক থেকে এরা একটু পিছিয়ে থাকে। আর পুরুষ মানুষ মাত্রই সুন্দরের পূজারী। তাই আপনি এদের কাউকে বিয়ে করলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন, কারণ অন্য কারো আপনার স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ভয় থাকবে না।
৬. এদের নাক গন্ধপ্রুফ। সারাদিন হাসপাতালের দুর্গন্ধে থাকতে থাকতে এদের কাছে দুর্গন্ধ ব্যাপারটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়। যার ফলে, আপনার ঘাম কিংবা বাতকর্মের দুর্গন্ধ কোনোটাই তাকে প্রভাবিত করবে না। আপনিও পেয়ে যাবেন একটি ঝামেলা বিহীন শান্তিপূর্ণ জীবন যা অন্য কোথাও নিঃসন্দেহে দুর্লভ।
৭. অন্য আট-দশজন স্ত্রীর মতো স্বামীর উপার্জনের উপর নির্ভরশীল নয় এরা। আপনার চাকরির প্রতি বিমুখতা কিংবা চাকরি চলে গেলেও কোন চিন্তা করতে হবে না। শুধুমাত্র ঘর ঝাড়ু দেওয়া, ঘর মোছা, রান্না করা, কাপড় ধোয়া, সন্তান প্রতিপালনের মতো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন আজীবন সম্মাননা এবং একই সাথে ফ্রিতে থাকা, খাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ!
৮. আপনি প্রেমিকার জন্মদিন, এনিভার্সারি কিংবা বিশেষ কোনো দিন ভুলে গেলেও ক্যাঁচাল করবে না। কারণ ক্যাঁচাল করার জন্য তো মনে থাকতে হবে, এদের কাজের চাপে সেটা মনেই থাকবে না!
৯. আপনি যদি ক্যারিয়ার অরিয়েন্টেড হন অবশ্যই ডাক্তার মেয়ে আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত। কারণ সারাদিন আপনার প্রেমিকা/স্ত্রী কাঁধে উঠে, গলায় ধরে আহ্লাদ করার মতো সময় পাবে না। আপনিও পাবেন কাজ করার জন্য অফুরন্ত সময়।
১০. এরা সারাদিনই পড়ার উপর থাকে, হোক রাত তিনটা কিংবা দুপুর বারোটা। সুতরাং অদ্ভুত সময়ে জেগে থাকার জন্য ঘরে চুরি হবার আশঙ্কাও কম। কারণ চোরও জানে ঘরে কেউ একজন জেগে আছে!
