আ জার্নি বাই বোট: একটি মিরপুরবাসী বালকের রচনা

১২৩ পঠিত ... ১৭:১৯, জুন ১২, ২০২৩

আ-জার্নি

জার্নি বাই বোট খুব ইন্টারেস্টিং একটি অভিজ্ঞতা। আমি এই অভিজ্ঞতাটা মাঝেমধ্যেই পাই। আমার বাসা আগে ছিল ঢাকা শহরের ধানমণ্ডি এলাকায়। তারপর আমরা মিরপুরে শিফট করলাম। মিরপুরে শিফট করার পরই এক ঝুম বৃষ্টির দিনে আমার প্রথম বোটে ওঠা হয়।

 

দিনটা ছিল রবিবার, সকাল সকাল ঘুম ছেড়ে উঠেছি স্কুলে যাওয়ার জন্য। রবিবার বাবার ছুটির দিন, তাই বাবাও রেডি হলেন আমার সাথে। বাইরে ঝুম বৃষ্টি। মা আমাদের মাথায় পলিথিন পরিয়ে দিলেন, সাথে দিলেন একটা ছাতা। আমরা বাসা থেকে নিচে নেমে দেখি নদী, এর আগে আমি কখনও নদী দেখিনি। নদীতে জোয়ার আসছে সাথে বৃষ্টিও! আমার খুব ভালো লাগছিল, আজকে স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের নদী দেখার গল্প বলব। নদীতে বাই-সাইকেল, বাইক, সিএনজি, রিকশা, কার, ট্রাক এমন নানান ধরনের বোট চলাচল করছিল। আমরা চারকোনা, তিন চাকার একটা বোটে উঠলাম।

আমাদের বোটের অবস্থা একটু খারাপ ছিল, তাই বোটে উঠেও আমরা অল্প অল্প ভিজছিলাম। মায়ের মতো বোটের ড্রাইভারও আমাদের পায়ের উপর পলিথিন দিয়ে দিল। তারপর শুরু হলো আমাদের যাত্রা। আমরা নদী ধরে একটু এগোতেই খুব ভয়ানক একটা বিপদের মুখে পড়লাম। আমাদের সামনে থাকা বোটটা হঠাৎ করে উলটে পড়ে গেল। সেই বোটের সাথে আরও একটা বোট এসে ধাক্কা লেগে কী একটা অবস্থা!

 

আমাদের জার্নিটা অনেক ভয়ানক ছিল, নদীর মাঝখানে মাঝখানে গর্তে ভরা ছিল। আমাদের মনে হচ্ছিলো আমরা বোটে না রোলার কোস্টারে চড়ছি। একবার ডানদিকে উলটে যায়, একবার বামদিকে উলটে যায়, আবার সামনের চাকা ধরে কে জানি টানছিল। এদিকে আমি আর বাবা ভিজে একাকার! আমাদের আশেপাশেও যারা বাইক, ভ্যান, সাইকেলে ছিলেন তারা সবাই ভিজে কাদায় মাখামাখি।

সেদিন আর আমার স্কুলে যাওয়া হয়নি। আমি সারাদিন বারান্দায় বসে নদী দেখেছি, নদীতে মানুষকে ডুবে যেতে দেখেছি। সেগুলোর ছবি, ভিডিও নিয়ে রেখেছি। তারপর নদী যেদিন শুকালো সেদিন স্কুলে গিয়ে আমার বন্ধু, শিক্ষক সবাইকে এই গল্প শুনিয়েছি।

১২৩ পঠিত ... ১৭:১৯, জুন ১২, ২০২৩

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top