আর নয় ভিআইপিদের ভোগান্তি! টাকা তুলতে ক্যান ব্যাংক আওয়ারেই যেতে হবে? ভিআইপি যাবেন তার টাইমে! সেই জীবন দর্শন অনুযায়ীই এবার ভিআইপিদের চব্বিশ ঘন্টা ব্যাংকিং সার্ভিস দিতে আসছে নতুন 'ভিআইপি ব্যাংক।'
ঘটনার সূত্রপাত মূলত ইউনিয়ন ব্যাংকে। ব্যাংকটির ভল্ট থেকে হুট করেই ১৯ কোটি টাকা উধাও হয়ে যায়৷ তবে দ্রুতই তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে বিষয়টি নজরে আসে। নথিপত্র অনুযায়ী ব্যাংকের ভল্টে ৩১ কোটি টাকা থাকার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল গুনে সেখানে ১২ কোটি টাকা পায়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷
ইতোমধ্যে জানা যায়, কোনো এক ভিআইপি গ্রাহককে ব্যাংক আওয়ারের শেষে ১৯ কোটি টাকা দেওয়ায় সেটি আর নথিভুক্ত করা হয়নি৷ ব্যাংক আওয়ারের পরে কাউকে এভাবে নগদ ১৯ কোটি টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই বলে এত শোরগোল! তাই সেই সমস্যা সমাধানেই এলো ভিআইপি ব্যাংক।
ইউনিয়ন ব্যাংকের সেই ভিআইপি গ্রাহকের হয়রানি প্রসঙ্গে নতুন 'ভিআইপি' ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের একজন বলেন, 'শুধু একবার ভাবেন, একটা ভিআইপি লোক টাকা নিছে যেটা নিয়া এত গন্ডগোল! ভিআইপি ভাইটা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কি ফকির মনে করলো কন তো! সামান্য ১৯ কোটি টাকা নিয়ে এভাবে কথা হচ্ছে! উনার তো মানহানির মামলা করা উচিত! আমাদের ব্যাংকগুলোরও এটা মান সম্মানের প্রশ্ন এটা! আর আপনারা নথির কথা বলতেছেন! আরেহ মিয়া, একজন সম্মানী মানুষকে টাকা দিয়ে তার সামনে আবার তা খাতায় লিখে রাখা যায়! লজ্জা লাগে না!'
এ পর্যায়ে তিনি একটি ধর্মীয় রেফারেন্স দিয়ে বলেন, 'তোমরা এমনভাবে ব্যাংকিং করো, যেন ডান হাত দান করলে বাম হাতও জানতে না পারে।'
ভিআইপিরা টাকা চাইলে ব্যাংকে যদি পর্যাপ্ত টাকা না থাকে, তাহলে ব্যাংক নিজেই টাকা ধার করে ভিআইপিদের দেবে, এমন একটি সুবিধার কথাও জানান নতুন ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা। ভিআইপি ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, 'ভিআইপি ব্যাংক ভিআইপিদের। তারা যখন ইচ্ছা টাকা নিবেন, যখন ইচ্ছা রেখে যাবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখানে এসে মাস্টারি করবে না৷ প্রয়োজনে এই ব্যাংকের ভল্টের চাবিকে কারওয়ান বাজার থেকে একাধিক কপি করা হবে৷ এরপর প্রতিটি ভিআইপির কাছে একটি করে চাবি দেয়া হবে৷ একটা স্বাধীন দেশে ভিআইপিদের এভাবে হেনস্থা একদমই মেনে নেয়া যায় না।'