খুব জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের কথা। সুদীর্ঘকাল বাদে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়াতে দলের সংখ্যায় যেমন এসেছে পরিবর্তন তেমনি ঘোষণা কিংবা সভাতেও থাকবে ভিন্নতা। কিন্তু সেই ডাইনোসরের যুগ থেকে চলে আসা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বলবৎ থাকবে বরাবরের মতো এবারেও। চিঠির যুগ থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজিন্সের যুগের এই তারতম্যে প্রতিশ্রুতিতেও থাকবে নানাবিধ সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধনসহ আধুনিকতার ছোঁয়া। তার সুবাদেই বাজারে খুব শীঘ্রই আসছে অ্যাপ।
এখানে কোন কোন দল কী কী নির্বাচনী অঙ্গীকার করবে তা লিংক কিংবা কিউআর কোডে পাওয়া যাবে।
কোন প্রতিশ্রুতি ‘মিথ্যা’ বা ফিশিং মনে হলে জনসাধারণ তাতে রেড ফ্ল্যাগ চিহ্নিত করে রাখতে পারবেন।
শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়, কে কোন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সেটাও উল্লেখ থাকবে। এই অ্যাপের খবরে অনেকে আনন্দ প্রকাশ করলেও পরমুহূর্তেই কিছু দলের নেতাদের মুখে মলিনতার ছাপ লক্ষ্য করা যায়। যদিও তারা জানান, সামনে শীতকাল, তার প্রস্তুতি হিসেবে চেহারা মাঝেমাঝেই এমন হয়ে যাচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে অ্যাপে আপলোডের উদ্দেশ্যে কয়েকটি দল ইতোমধ্যেই কয়েকটি প্রতিশ্রুতির খসড়া করে ফেলেছেন।
যেমন-নির্বাচনে জিতলে এক হাতে সার্টিফিকেট আর এক হাতে চাকরি, আরও একটা হাত থাকলে বিয়েটারও ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত।
নির্বাচনে জিতলে সবাইকে একটি করে মোবাইল উপহার দেওয়া হবে যেটায় বাটন প্রেস করলেই স্বয়ংক্রিয় গান বাজবে,
আসছে আসছে ঐ নির্বাচন আসছে...
নির্বাচনে জিতলে আপনার মাথার চুল কাটার জন্য আর সেলুনে যেতে হবে না, আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিম হারপিকের বিজ্ঞাপনের চেয়েও দ্রুতগতিতে আপনার বাসায় পৌঁছে যাবে, বাসায় না থাকলে রাস্তায় আপনাকে ঠিকই খুঁজে নেবে।
নির্বাচনে জিতলে আমাদের দল আর কোনো হুঁশিয়ারি দেবে না।
অঙ্গীকার যেহেতু করা হয় ভঙ্গের উদ্দেশ্যে এজন্য কোনো শব্দ সংখ্যার বেড়াজাল থাকবে না।
অ্যাপের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, সৃজনশীল প্রশ্ন পড়ে বড় হয়েছি, তাই এই অ্যাপ বানিয়েছি। কারণ আমরা ঘেঁটে দেখেছি, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মতো সৃজনশীল এবং অভিনব কোনো প্রতিশ্রুতি আর হয়ই না।