টাকা ধার দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি মোটিভেশনাল স্পিকার সুলাইমান সুখনের একটা স্পিচ ভাইরাল হয়। স্পিচটিতে তিনি 'কোন বন্ধু উপকার করলো, কোন বন্ধু করলো না, কোন বন্ধু টাকা ধার দিলো, কোন বন্ধু দিলো না' তাদের পাই পাই করে হিসেব রাখতে বলেছেন। আর তাতেই আচমকা উল্টোদিকে মোটিভেটেড হয়ে স্পিচটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে অসাধু বন্ধুসমাজ।
একটি সম্পূর্ণ অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, সোলাইমান সুখনের এই ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বন্ধুদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র৷
চক্রটির শিকার হওয়া অনেকের সাথে কথা হয় eআরকির। ধানমন্ডির বাসিন্দা রায়হান তেমনই একজন। তার এক বন্ধুর সাথে অন্তত ৮ বছর যোগাযোগ হয় না তার৷ কিছুদিন আগে রাত ৩টায় রায়হানের কাছে বিকাশে ২০ টাকা লোড চায় তার বন্ধুটি। রায়হান দিতে অপারগতা জানালে বন্ধুটি রায়হানকে সুখনের ভিডিও পাঠায়৷ এরপর অনেকটা বাধ্য হয়েই রাত ৩ টায় এলাকার ফ্লেক্সির দোকানদারকে তুলে এনে ২০ টাকা ফ্লেক্সি দেয় রায়হান৷'
উত্তরার সাব্বির এমন ব্ল্যাকমেইলকে প্রথমে পাত্তা দেননি৷ তার এক বন্ধু টাকা ধার চাওয়ার পর সুখনের ছবি পাঠালেও অপারগতাই জানান সাব্বির। এরপর তার বন্ধু জানায়, 'পাই পাই' করে হিসেব রাখার জন্য সে নাকি একজন তুখোড় ব্যাচের এক ভাইয়াকে নিয়োগ দিয়েছে৷ সাব্বিরের এরপর আর কিছুই করার ছিলো না।
অবশ্য সুখনের এই ভিডিও কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে৷ পুরান ঢাকার রনি নামের এক যুবক এই পদ্ধতিতে ৪ দিনেই লাখপতি হয়েছেন। রনির সাথে কথা বলতে গেলে সুখনকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, 'আমি হিসাববিজ্ঞানের ছাত্র, পাই পাই করে হিসাব আমি আগেই রাখছিলাম। ভাইয়ের ভিডিও দেখে মোটিভেশন পাইলাম। তারপর ভার্সিটি লাইফে যত বন্ধু টাকা ধার নিসিলো, সবাইরে এই ভিডিও দেখায়া টাকা ফেরত চাইসি। আর কী আশ্চর্য, সবাই দিয়েও দিলো।'
এ পর্যায়ে তার ফোনে একটি মেসেজ আসলে তিনি হেসে বলেন, 'বিকাশের মেসেজ। আমার ভার্সিটি লাইফের বন্ধু সিক্স ডিজিট টাকা পাঠাইসে, এত টাকার ওরে ভার্সিটির চার বছরে টোটাল বিড়ি খাওয়াইসিলাম।'
এ প্রসঙ্গে সুখনের একটি ফেক আইডির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই টাকা লেনদেনের বিষয়টা বিকাশের বদলে নগদে করার পরামর্শ দেন।