এসো সরোবরে, জলঅবতলে: রবীন্দ্র সরোবরের ছবি দেখে বললেন মুগ্ধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৩২ পঠিত ... ২১:৩৬, জুলাই ২১, ২০২০

গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে বরাবরের মতোই ডুবে গেছে ঢাকা শহর। অতল জলে থাকা ঢাকার বেশ কিছু জায়গা ও রাস্তার ছবি সারাদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে একটি বিশেষ 'রাবীন্দ্রিক' ছবি নজর কাড়ে সবারই। ছবিতে দেখা যায়, ধানমন্ডি লেকের পানি উপচে এসে ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবরের পুরোটাই যেন হয়ে গেছে 'রবীন্দ্রসমুদ্র'! জায়গাটাকে এখন রবীন্দ্রলেক কিংবা রবীন্দ্রহ্রদ বলা হলেও খুব ভুল হয় না।

তবে রবীন্দ্রসরোবরের এমন অতল রূপখানা কিন্তু মুগ্ধ করেছে স্বয়ং রবিঠাকুরকেই। ফেসবুকে নিজেই ছবিটি শেয়ার দিয়ে তিনি ক্যাপশনে লেখেন-
এসো সরোবরে, জলঅবতলে
এসো করো স্থান নবধারাজলে

কবিগুরুকে এমন খোশমেজাজে দেখে তাই আমরাও ঝটপট তাকে নক দেই। আমাদের মেসেজ দেখেই তিনি বলে ওঠেন, 'ওহে'!

সারাদিন ঘরে বসে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'রবীন্দ্রসরোবর জায়গাটির ছবি আমি আগেও দেখিয়াছি। তবে উহা অত মনোহর ঠেকে নাই, যেরূপ আজ মনে হইলো। ধানমণ্ডি হ্রদের স্বল্প জল দেখিয়া অতীতে বিরক্ত হইয়াছি। একবার মনে হইয়াছিল আমার নামে এই জায়গার নাম দেয়া অনুচিত। তবে আজ ছবিখানি দেখিয়া সিদ্ধান্ত বদলাইয়াছি। নবধারাজলে স্থান করিবার এক দুনির্বার আকাঙ্ক্ষা মনে খেলিয়া গেলো!'

এই পর্যায়ে তিনি একটি চোখ টিপের ইমো দিয়ে জলকেলিরত রমণীদের কিছু দুষ্টু জিফ দেন।

জোড়াসাঁকোতে এমন একটি লেকের পাশে বসিয়াই কবিতা লিখিতাম, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, 'রবীন্দ্রসরোবর নামখানি বদলাইয়া রবীন্দ্রঅতলসরোবর রাখিবার প্রস্তাব করিতেছি। এই অতল হ্রদের পাশে বসিয়া একটি হইলেও কবিতা লিখিতে চাই। বজরা নিয়া ভ্রমণ করিলেও মন্দ হয় না।'

রবীন্দ্রসরোবরের আশেপাশেই প্যাডেল মারা নৌকা চালানো যায় এমন তথ্য জানতে পেরে কবি যারপরনাই পুলকিত হন।

ধানমণ্ডির দিকে কোন বাস যায়, এমনটা জানতে চেয়ে তিনি আরও বলেন, 'একবার বাহনে উঠিয়া ধানমণ্ডি যাইতে গিয়া হতচ্ছাড়া ছোকরাটা শেষতক খিলগাও নামাইয়াছিল। আচ্ছা, সরাসরি নৌকায় যাইবার আইডিয়াটা কেমন? কোনো নৌকা সার্ভিসের সন্ধান দিয়ে পারো?'

এ পর্যায়ে আমাদের পেসিমিস্টিক প্রতিবেদক সাহেদের ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে নৌকায় ভরসা রাখতে নিরুৎসাহিত করলে কবিগুরু হালকা বিমর্ষ হয়ে পড়েন।

১১৩২ পঠিত ... ২১:৩৬, জুলাই ২১, ২০২০

Top