চাঁদের মাটিতে খনিজ সম্পদের খোঁজ করতে গত ২২ জুলাই রওনা হয়েছিল ভারতের চন্দ্রযান-২, ২০ আগস্ট তা প্রবেশ করে চাঁদের কক্ষপথে। অতঃপর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা থাকলেও শুক্রবার রাতে চাঁদের পৃষ্ঠ স্পর্শ করার আগেই নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে চন্দ্রযান–২–এর।
বহুল আলোচিত ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের পরিণতি নিয়ে তাই চলছে নানান আলোচনা। ঠিক কী হয়েছে চন্দ্রযান-২ এর? কেন তা অবতরণ করতে পারেনি চাঁদে? এটি কি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে? এমন নানান আলোচনার মাঝে উঠে এসেছে অবিস্মরণীয় এক তথ্য। সেই ২০১৩ সাল থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে স্থায়ীভাবে অবস্থানরত চন্দ্রমানব সাঈদীই নাকি চন্দ্রযানকে চাঁদে ঢুকতে দেননি! 'ইসরো'র কোনো রিসার্চে নয়, এই তথ্য জানা গেছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের 'চান্দু মিয়া' নামক একজন চন্দ্রগবেষকের কাছ থেকে।
ইতোপূর্বে চাঁদে সাঈদীকে দেখেছিলেন চান্দু। চন্দ্রযান-২ চাঁদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পর থেকেই চাঁদের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে মীনা কার্টুনের মীনার মতো দুই হাত চোখের সামনে গোল করে ধরেই তিনি চাঁদের সামনে এই সিন-সিনারি দেখতে পান।
এ ব্যাপারে তিনি eআরকিকে জানান, 'ভাই আকাশের পরিবেশটা শান্ত ছিল, কোনো মেঘ আছিল না। কসম লাগে, পরিষ্কার দেখলাম সাঈদী সাবরে, ইন্ডিয়ার রকেটটারে এক ধমকে খেদায় দিলেন।'
ঠিক কেন সাঈদী সাহেব চন্দ্রযান-২ এর উপর মনক্ষুন্ন হলেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'চাঁদে একা একা থাকেন। উনার যেমন চয়েজ, তাতে চাঁদের বুড়িরে তো তার খুব একটা পছন্দ হওয়ার কথা না। এইজন্য হয়তো মুড সুইং হইছে।'
তবে এছাড়াও চান্দু মিয়া জানালেন আরও একটি সম্ভাবনার কথা, 'লইট্টা ফিশ উনি খুব লাইক করেন। চন্দ্রযান-২ লইট্টা ফিশ নিয়া আসলে নিশ্চয়ই চান্দে ঢুকতে পারতেন। আমাদের পাড়ার সইদুলের ছেলে কয়েকদিন আগে লইট্টা ফিশ নিয়া চান্দে গেছিলো। মাথায় হাত দিয়া কইতেছি জনাব, নিজ চোখে দেখছি।'
তবে চান্দু মিয়া বাদেও লোকাল বেশ কিছু চন্দ্রগবেষকের ধারণা, 'ডার্ক সাঈদী অফ মুন' বা চাঁদের সাঈদীবলয়ে আটকে পড়েই নিখোঁজ হয়ে গেছে চন্দ্রযান-২। অনেকে মহাকাশযানটি রেসকিউ করার জন্য লইট্টা ফিশের চালান নিয়ে আরেকটি রকেট পাঠানোর পরামর্শও দিচ্ছেন।