মুক্তি পেয়েছে দ্য ফেস অফ ঢালিউড, আসল কিং খান, নাম্বার ওয়ান শাকিব খান অভিনীত 'চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া'। ইতোমধ্যে ইউটিউব এবং ফেসবুকে ঝড় তোলা ট্রেইলারটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে পরের বছর কান, হাত, পাসহ মোটামুটি সব বড় পুরস্কার পেতে যাচ্ছে এই সিনেমা।
এই মুভির ট্রেলারে কয়েক সেকেন্ডের জন্য শাকিব খানকে 'কৃষ' এর মুখোশ পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। প্রথম দৃশ্যে তাকে মুখোশ পরে একটি কালো গাড়ি থেকে বেশ কায়দা করে নেমে বীরদর্পে হাঁটতে দেখা যায় এবং পরেরটিতে তিনি আরেকটি গাড়ি থেকে একটি সুটকেস হ্যাঁচকা টান দিয়ে বের করে আনেন।
এ দুটি দৃশ্য দেখেই ইন্ডিয়ান 'কৃশ' সিনেমার পরিচালক এবং সেই সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করা নায়ক হৃত্বিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশন বিস্মিত হয়ে গেছেন। ট্রেলারটি দেখামাত্র তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে লাইভে চলে আসেন। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষ সিনেমা বানানোর আগে কেন যে শাকিব খানকে পাইনি! অনেকদিন ধরে ইচ্ছা ছিল কৃষ চরিত্রে সালমান খানকে অচিনয় করানোর। সালমান শিডিউল দিতে না পারায় আমি পরে হৃত্বিককেই করতে বলি। কিন্তু শাকিব খানকে দেখে মনে হচ্ছে, সালমান খান না করলেও কৃষ চরিত্র ডিসকাউন্ট সালমান খানকে দিয়ে হলেও করানো উচিত। শাকিব জাস্ট আমাকে মুগ্ধ করেছে!’
সেই মুগ্ধতার রেশ ধরেই কৃশ ২ না বের করে কৃশ-এর পর সরাসরি কৃশ ৩ রিলিজ করা এই পরিচালক একেবারে কৃশ ৬ বের করবেন বলে মনস্থির করেছেন। তার ব্যাখ্যা, আগের চেয়ে এবারের কিস্তি কমসেকম দ্বিগুণ ধামাকাদার এবং টুইস্টে পরিপূর্ণ হতে যাচ্ছে, তাই নামেও তার প্রতিফলন থাকা চাই। তবে এই সিনেমার নামটি কৃষ নয়, হতে যাচ্ছে ‘কৃশ’! সম্ভবত এই শব্দের বাংলা অর্থই সিনেমার নামের বানান সম্পর্কে সচেতন রাকেশকে অনুপ্রাণিত করেছে।
শাকিব খানকে নিয়ে পরিকল্পনা জানানোর পর রাকেশ রোশন একটি হলিউড মুভির গল্পের কিঞ্চিত অংশ মার্কার দিয়ে দাগিয়ে কৃষ সিক্সের সম্ভাব্য গল্প হিসেবে আমাদের দেখান।
এর আগে কৃষ চরিত্রে অভিনয় করা হৃত্বিক রোশনের কাছে এ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘শাকিবকে কৃষের মুখোশে দেখে মনে হলো, এটা আমার আর না পরাই ভালো হবে। ইয়ে, মানে ওকেই ওটা ভালো লাগছে। মুখোশ না পরে যে মুখে রঙ করেও ব্যাপারটা বেশ নিখুঁত করা যায়, আমরা আগে ভাবিনি। আশা করছি বাপের অনুরোধে গল্পহীন এই হলিউড ম্যাশাপ হিন্দি মুভির কোনো সিক্যুয়ালে অভিনয় করার যন্ত্রণা আমাকে আর নিতে হবে না, এসবে শাকিবই ভালো।’
এই পর্যায়ে পাশের রুম থেকে ডাক পড়লে হৃত্বিক বিরক্ত মুখে বলেন, ‘বাবার সাথে আপনারা গিয়ে কথা বলেন। কৃশ ট্রিশের মধ্যে আমি আর নাই।’
