সিনেমায় শাহরুখের চরিত্রের নাম রাহুল। তার পরিবার বিশাল বড়লোক। কিন্তু বড়লোক হলেই সবাই বিদেশে থাকে না, শুধু শাহরুখ (রাহুল) থাকে, পড়াশুনা করে। কিন্তু টানা কি পড়ালেখা ভালো লাগে? একটু বিয়ে-টিয়েও তো করা দরকার! বিদেশ থেকে দেশে আসলে সবাই ডাভ সাবান, শ্যাম্পু,চকলেট,ক্লিপের গাদা খানেক ব্যাগ আনলেও শাহরুখ করলেন তার ঠিক ব্যতিক্রম। তাই তাকে একটা স্যুটকেসে নিজের জামা-কাপড় নিয়ে রওয়ানা দিতে দেখা গেল। এরপরই টানটান উত্তেজনায় আরম্ভ হল তার নীলক্ষেত যাত্রা। শাহরুখ খান এয়ার পোর্টে এসে নামলেন। এয়ারপোর্টে দাঁড়ানো তাদের পারিবারিক গাড়িতে উঠলেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে গাড়ি সাঁই সাঁই করে একদম গাড়ির মতই চলতে আরম্ভ করলো। পথে ঘটতে লাগলো একেক পর এক দুর্দান্ত সব ঘটনা। শাহরুখের এই যাত্রার পাই টু পাই খবর পইপই করে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো বাংলার আকাশে বাতাসে।
শাহরুখকে গাড়িতে বসা অবস্থায় দেখা যায়। তার হাত নড়ছিল সাথে সানগ্লাসটাও। এই অদ্ভুত দুলুনি ধরা পড়ে এক পাপারাজ্জির মুঠোফোনে। বিজয় সরণিতে আশংকা করা হয় তিনি জ্যামে পড়তে পারেন। আশংকা সত্যি করে তার গাড়ি হঠাৎ দাঁড়ায়। তখন শাহরুখকে পানি খেতে দেখা যায়। মাথা বের করে সিগন্যালও দেখেন। এমন দারুণ খবরে নড়েচড়ে বসে বিনোদন জগতের সাংবাদিকরা। হঠাৎ শাহরুখের গাড়ি ফ্লাইওভারে উঠে পড়ে, কিন্তু একটু পরেই নেমে যায়। ধারণা করা হয় ফ্লাইওভারের পিলারের সমাপ্তি তাকে নেমে যেতে বাধ্য করেছে। গাড়িতে বসে শাহরুখকে পানি ও চিপস খেতে দেখা যায়। এ যেন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, একা একা খেতে চাইলে দরজা বন্ধ করেই খাওয়া উচিত। এরপরের ঘটনার সিকোয়েন্সগুলো এগিয়ে গেল দ্রুত।
ফুটপাত পার হলেন শাহরুখ।
গাড়ি ডানে মোড় দিল শাহরুখের গাড়ি।
মাথা চুলকালেন শাহরুখ।
পানি খেয়েছেন শাহরুখ।
দুপুরের খাবার ব্যাগে ছিল না শাহরুখের।
টানা ৪ ঘণ্টা ভাত খাননি শাহরুখ।
পোর্টেবল ওয়াশরুম প্রয়োজন শাহরুখের।
শাহরুখের ফোনের চার্জ এখন কত?
ডান পা নাড়াচ্ছেন শাহরুখ।
প্যাঁ প্যাঁ শব্দ করছে শাহরুখের গাড়ি।
শেষ মোড়ে দাঁড়িয়েছে শাহরুখের গাড়ি।
এদিকে নীলক্ষেতে শাহরুখদের বাসায় চলছে অনুষ্ঠান। সবাই নাচ-গানে ব্যস্ত। কিন্তু জয়া বচ্চন (সিনেমায় শাহরুখের মা) হঠাৎ ই অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন। চুলোয় কি কিছু পুড়ছে? ছাদের কোন কাপড় উড়ে গিয়েছে? বেলকনিতে চোর জামা কাপড় নিতে এসেছে? নাহ ,সেসব কিছুই হয়নি। জয়া বচ্চন ভাবলেন, আজ আশেপাশে এত ঘিঞ্জি বিল্ডিং না থাকলে আজ ছেলেটা হেলিকপ্টারে আসত। ভেবে জয়া বচ্চনের চোখে জল চলে আসে, কান্না দলা পাকিয়ে যায়।
হঠাৎ একটা প্যাঁ প্যাঁ শব্দ ভেসে আসে।
শাহরুখের গাড়ি বাড়ির দরজায় দাঁড়ায়।
শাহরুখ নিজ পায়ে নিজ হাতে সুটকেস নিয়ে মহাকর্ষীয় বলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাঁধ বাঁকা করে বেড়িয়ে আসে।
তার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলে ওঠে ৩ মাত্রায় ভূমিকম্প!
শাহরুখ দাঁত কেলিয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হন বাসায়।


