অনলাইনে 'Haha' রিঅ্যাকশন দিলেই ৫ বছরের জেল! হাসি এখন 'সাইবার অ্যাসল্ট'!
সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু মিম পেজের নামে মামলা করেছে ডাকসুর ভিপি ও শিবির নেতা সাদিক কায়েম। সাদিক কায়েমের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে বিশ্বের আপামর ফ্যাসিস্ট সমাজ। এমন সিদ্ধান্তকে ফ্যাসিস্টদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবেও গণ্য করেছেন অনেকে। পাশাপাশি তারা দাবি তুলেছেন, শুধু মিম না যারা মিমে ‘হাহা’ দেয়, ‘লাভ’ দেয় তাদের নামেও মামলা করার অধিকার চায় ফ্যাসিস্ট সমাজ। এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ার ডাবল ফেসড ও হিপোক্রেসি মূলক পোস্টে কেউ হাহা দিলে তার নামেও রাখতে হবে মামলা করার সুযোগ। এইসব হাসির রিএ্যাকশনকে তাঁরা সরাসরি 'সমাজবিরোধী কার্যকলাপ' এবং 'ডিজিটাল অবমাননা' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এই 'ফ্যাসিস্ট সমাজ'-এর নেতৃত্বদানকারী সংগঠন, নাম যার 'সোশ্যাল মিডিয়া আবেগ রক্ষা কমিটি' (SMARC), তারা দাবি করেছে— ফেসবুকে কোনো নেতার পোস্টে 'Haha' রিঅ্যাকশন দেওয়াটা এক প্রকার 'সাইবার অ্যাসল্ট'। তাই এই 'গণ-হাসি'-কে রুখতে দ্রুত আইন প্রণয়ন করতে হবে।
SMARC-এর সভাপতি, মি. গম্ভীর চন্দ্র (যিনি জীবনে একবারও হাসেননি বলে জানা যায়) বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা হচ্ছে! কেউ দুঃখের কথা লিখলে যদি তাকে 'Haha' দেওয়া হয়, তবে তা 'সুইসাইডাল ট্রিগার' হিসেবে কাজ করে। আমরা চাই, নতুন আইনে 'Haha' রিঅ্যাকশনকে রাষ্ট্রীয় অপরাধ ঘোষণা করা হোক। এই রিঅ্যাকশন দিলেই যেন তাৎক্ষণিক ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানা হয়। হাসি এখন আর হাসি নয়, হাসি হলো 'ডিজিটাল ওয়েপন।‘
জানা গেছে, সরকারের একটি 'গুরুত্বপূর্ণ' বিভাগ নাকি এরই মধ্যে এই হাস্যকর (ওহ, দুঃখিত!) আইনটির খসড়া তৈরি করতে শুরু করেছে। প্রস্তাবিত আইনটির নাম হবে 'ফেসবুক হাসি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২৫'।
আইনের প্রধান ধারাসমূহ যা হতে পারে (eআরকি-র নিজস্ব শতভাগ অবিশ্বস্ত সূত্রমতে), যারা ফ্যাসিস্টের পোস্টে লাভ দিবে তারা অন্যদের পোস্টে হাহা দিতে পারবে! কোনো সমস্যা হবে না। এক্ষেত্রে পুরস্কৃতও করা যেতে পারে, আবার যারা ফ্যাসিস্টের পোস্টে হাহা দিবে শুধু তাদেরকে ধরে ধরে জেলে বলা হবে। এই হাহা রিএ্যাক্টকে অনেকেই বলছেন, ডিজিটাল রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
এছাড়াও অন্য আরেকটি ধারায় বলা হয়েছে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পোস্টে 'Haha' দেওয়া হলে অভিযুক্তকে দ্রুততম সময়ে এমন এক জায়গায় পাঠানো হবে, যেখানে ইন্টারনেট তো দূরের কথা, হাসিরও কোনো সুযোগ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, সেই স্থানটি হলো 'আমলাতান্ত্রিক ফাইল স্তূপ'।
অন্য আরেক ধারায় বলে হয়েছে যিনি একাধিকবার 'Haha' রিঅ্যাকশন দেবেন, তার নামে প্রতিবার একটি করে মামলা হবে। এক বছরে ১০টি মামলা হলে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি সিল করে দেওয়া হবে এবং প্রোফাইল পিকচারে লাগিয়ে দেওয়া হবে একটি কাঁদো কাঁদো ইমোজি।


