গতকাল এক গোপনীয় (কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ) সভায় নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে এই কমিটি। কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সালামি প্রত্যাশী বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের ঈদে বিকাশ সালামির ন্যূনতম পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ পরিমাণ ২৫,০০০০০০০০০ টাকা। তবে, কেউ চাইলে এর চেয়েও বেশি দিতে পারবেন, এতে কমিটির কোনো আপত্তি নেই—বরং প্রশংসাই করা হবে।
সকাল সকাল বিকাশ করে সালামি পরিশোধ করায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চাঁদ রাত থেকে ঈদের দিন সকাল ১০টার মধ্যে সালামি পাঠানোর আদর্শ সময় বলে বিবেচিত হবে। যদি কেউ দেরি করে, তাহলে তাকে সালামি কালচার থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
এবার শাড়ি, পাঞ্জাবি বা অন্য কোনো উপহার দিয়ে সালামি দেওয়ার চল বাতিল করা হয়েছে। শুধুমাত্র সালামি বিকাশ করলে তা ধার্য হবে। অথবা যেকোনো উপহারের বাজারমূল্য বিকাশ করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৯% ঈদ উপহার সাইজ-ম্যাচিং সমস্যার কারণে ড্রয়ারে জমা থাকে, তাই বিকাশ সালামিই সর্বোত্তম।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, সালামি নিয়ে এই ঈদে কোনো ধরনের কৃপণতা করা যাবে না। বেশি বেশি করে সালামি দিয়ে সবাইকে নিজের উদারতার পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিটির প্রধান। যেকোনো ধরনের আইনি ঝামেলা এড়াতে সালামির মানি রিকোয়েস্ট ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। তাছাড়া এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশি বেশি সালামি দিলে বড়দের মনও ভালো থাকে।
ঈদ মোবারক!