দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বিষয় নিয়েই ভয় পাই অথবা নার্ভাস হয়ে পড়ি সেইসময় আমাদের দুশ্চিন্তা কাজ করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। সেজন্য দুশ্চিন্তা থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়াই ভালো। তবে অনেকেই আছেন, দুশ্চিন্তা থেকে বের হতে চান না। দুশ্চিন্তাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চান। চলুন জেনে আসা যাক, কীভাবে দুশ্চিন্তাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকবে।
মেডিটেশন
মানসিক শান্তির জন্য মেডিটেশন বেশ উপকারী। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোনিবেশ করলে মন শান্ত হয়। তাই প্রচুর কাজের মধ্যেও একটু সময় বের করে নিয়ে ২মিনিটের জন্য হলেও মনোসংযোগ করুন। এর জন্য প্রয়োজন শুধু একটা শান্ত পরিবেশ ও উন্মুক্ত মন। এছাড়া দুশ্চিন্তা কমাতে প্রতিদিন সকালে যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। তবে আপনি যদি দুশ্চিন্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে চান তাহলে এইসব না করলেও চলবে।
মাইন্ডফুলনেস
ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ। তবে অনেকে একটু বেশি ভাবতে গিয়ে দুশ্চিতায় পড়ে যান। তাই ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বর্তমানকে প্রাধান্য দিতে বলেন অনেক মনোবিদ। এটাকেই বলে মাইন্ডফুলনেস চর্চা। ইউটিউবে বিভিন্ন মাইন্ডফুলনেস চর্চার ভিডিও দেখে মানসিক চাপ কমানোর পদ্ধতি শিখতে পারেন। বাস্তবধর্মী মনোভাব আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখবে। এতে করে আপনি যেকোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে পারবেন। অনেক বোকা মানুষ আছে, যারা দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে যেতে চায়, তারা এই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে। আপনি প্লিজ এইসব চর্চা করতে যাবেন না।
ভালো খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম
দুশ্চিন্তাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইলে মটেও ভালো খাবার খাওয়া যাবে না। অনেকে শাক সবজি, ফল, মাছ, শস্যদানা বেশি পরিমাণে খেয়ে ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু আপনি তো দুশ্চিন্তা থেকে বের হবেন না। আপনার উচিত হবে, বেশি বেশি লাল মাংস খাওয়া, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া, যত ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার আছে সব খাওয়া। সম্ভব হলে বার্গার, পিৎজার মত জাংকফুডও বেশি বেশি করে খান।
ডায়েরি লিখুন
অনেক মনোবিদরাই বলেছেন, ডায়েরি লেখার অভ্যাস দুশ্চিতা কমাতে সাহায্য করে। দুশ্চিন্তা দূর করতে নিজের মনের অনুভূতিগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। কিংবা কাছের কোন মানুষের সাথে শেয়ারও করতে পারেন। আর দুশ্চিন্তা দূর করতে না চাইলে কী করবেন তা তো আপনি জানেনই!
নিজেকে সময় দেওয়া
ব্যস্ততা থাকবেই! তবুও নিজের জন্য সময় বের করে নিতে হবে। নিজের চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে নিতে হবে। চাইলে নিজের ভালোলাগার কোনো কাজও করা যায়। গান শোনা, ঘুরতে যাওয়া, বইপড়া, সিনেমা দেখা, ঘর গোছানো, গাছের যত্ন নেয়া-ইত্যাদি যে কাজটি করতে আপনার ভালো লাগে সেটিও করতে পারেন। অবশ্য আপনি যদি দুশ্চিন্তায় থাকতে চান তাহলে এই টিপস আপনার জন্য না!
ব্রিদিং এক্সারসাইজ
ব্রিদিং এক্সারসাইজ স্ট্রেস রিলিফের জন্য কার্যকরী।
ধীরে ধীরে গভীর ভাবে দম নিন দম ছাড়ুন। ঘাড় হালকা করে ফেলুন। দম নেওয়া ছাড়ার তালে আপনার বুক আর পেট ফুলে উঠবে।
মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে দম ছাড়ুন। এর ফলে পেট ভেতর দিকে ঢুকে যাবে, কিন্তু চোয়াল রিলাক্স রাখবেন।
এই শ্বাসের ব্যায়াম বেশ কিছুক্ষণ চালিয়ে যান, যতক্ষণ না আপনার উদ্বেগ কাটছে।
ইউটিউব থেকে ব্রিদিং এক্সারসাইজের ভিডিও দেখে নিতে পারেন।
ও সরি, আপনাকে কেন এসব বলছি! আপনি তো দুশ্চিন্তা থেকে বের হতে চান না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন