বন্ধুরা একসাথ হলেই আড্ডার অন্যতম অনুষঙ্গ থাকে গান। দলেবলে সবাই গলা মিলিয়ে সুরে কিংবা বেসুরে গান গাইতে গাইতে কখনো সময়ের খেয়ালই থাকে না। এই কালচারটা শুধু আমাদের দেশের জন্য না, পৃথিবীর সব দেশের জন্যই সত্য। প্রতিটি গ্রুপেই যেমন দারুণ গান গাইতে পারা, দারুণ গিটার বাজাতে পারা বন্ধু থাকে তেমনি সমান দখল নিয়ে থাকে বেসুরা, ভুল লিরিক, ভুল তালে গান গাওয়া বন্ধুরা। ইনফ্যাক্ট, তারা পুরো আড্ডাকে হাসি আনন্দে ভরে রাখে। আপনার গ্রুপের সেইসব বিশেষ বন্ধুদের স্মরণ করে একটি 'প্রকারভেদ' তৈরি করেছে eআরকি। লিস্টটা দেখে আপনার গ্রুপের সেইসব বন্ধুদের ফোন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটা গানের আড্ডা করে ফেলতে পারেন কিন্তু।
১# দ্য মাহফুজুর রহমান
যত ভ্যারিয়েশনওয়ালা গানই ধরেন না কেন, এদের সুর একটাই।
২# দ্য খরগোশ সিঙ্গার
এই ধরণের ফ্রেন্ডদের বড়ই তাড়াহুড়া। সম্মিলিত গান যখন প্রথম অন্তরায় এদের গান তখন শেষ।
৩# দ্য কচ্ছপ সিঙ্গার
এরা একটু অতি আবেগী। গানে কথা থাকুক বা না থাকুক এদের দশ আলিফ টান থাকবেই। গান শেষ হয়ে গেলেও এদের টান শেষ হবে না।
৪# দ্য তানসেন
জাতীয় সঙ্গিতের লিরিকও এরা মনে রাখতে পারে না। রিলিকের বদলে এরা অ্যাঁ, লা, হুহুহু নানাবিধ উচ্চাঙ্গ সারেগামাপা দিয়ে সুর মিলায়।
৫# লিরিক বিপ্লবী
এদের কাজ হচ্ছে ভুল লিরিকে গান গাওয়া, এবং নিজের লিরিকই ঠিক আছে মর্মে বাজি ধরা।
৬# সঙ্গীত উদ্যোক্তা
প্রতিটা গানের মাঝখানে 'বন্ধু চল ওই গানটা গাই' বলে প্রতিটা গানের বারোটা বাজানোর জন্যই এরা দলে থাকে।
৭# দ্য ডিফারেন্ট টাচ
নিজের মুন্সিয়ানা দেখানোর জন্য এরা এমন গান ধরবে যার লিরিক সে ছাড়া কেউ জানে না।
৮# দ্য গাঁঞ্জাবাবা
না, এরা গাঁজা খায় না। তবে গাঁজা ও নেশা সম্পর্কিত গান (বিশেষ করে তামাকপাতা, পাহাড়তলী যায় ইত্যাদি) গাওয়ায় এদের বড়ই আগ্রহ।
৯# দ্য স্কেল ব্রেকার
গান যে স্কেলে শুরু হয় এরা গায় ঠিক তার উপরের স্কেলে অথবা নিচের স্কেলে।
১০# দ্যা ড্রামার
এরা গান শুরুর সাথে সাথে হাতের কাছে যা পায় সেটাই ড্রাম হিসেবে বাজাতে থাকে। অধিকাংশ সময় এরা কাহারবা তালের গানে দাদরা বাজাতে থাকে।