কুড়িয়ে পাওয়া ইটের টুকরা দিয়ে চারতলা বাড়ি বানালেন আজিমপুরের মোতালেব

৬৭৯ পঠিত ... ১৭:৫৩, এপ্রিল ২০, ২০২২

Kuriye-pawa-it

 

ঢাকার ব্যস্ত এলাকা নিউমার্কেটের সামনের সড়কে সোমবার রাত থেকে দু'দফায় আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলেছে। সংঘর্ষের দু’টি পক্ষের একপক্ষ নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও অপর পক্ষে রয়েছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। সংঘর্ষ চলাকালে এক পক্ষ আরেকপক্ষের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছে ইট। সেই ইট কুড়িয়েই এবার চারতলা বাড়ি বানালেন আজিমপুরের মোতালেব নামের ব্যক্তি।

কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘পুরো জিনিসটা আসলে বেশ কঠিন ছিল, এরজন্য আমাকে আগে থেকেই প্ল্যান এবং শ্রম দিতে হয়েছে। যখন শুনেছি যে নিউমার্কেটে মারামারি লেগেছে, খুব দ্রুত অসংখ্য চটের বস্তা নিয়ে বউ-বাচ্চাসহ আমি সেখানে উপস্থিত হই। দিনের প্রথম ভাগে আমি ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষে অংশগ্রহণ করলে শেষভাগে থাকতাম ছাত্রদের সাথে। আবার পরের দিন তার উল্টো রুটিনে চলতাম। মারার ভঙ্গি করে ইটগুলোকে হাতে নিলেও সেগুলো না ছুড়ে পকেটে ঢুকাতাম। পকেট সব ভর্তি হলেই নির্দিষ্ট জায়গায় এসে সেগুলোকে বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলতাম....এভাবেই আমি কাজটি করতে সক্ষম হই।’

নিজের চারতলা বাড়ি বানানোর পর আরো কিছু ইট বেঁচে গিয়েছে বলে জানান মোতালেব। সেই বেঁচে যাওয়া ইট নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু বাঁচছে। শুনছি আজকের তারা মাঠে নামবেন। সন্ধ্যায় গিয়ে আরো কিছু এনে মেয়ের জামাইকেও একটা দোতলা বাড়ি বানিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা আছে।‘

এ তো গেলো শুধু ইট সংগ্রহের পালা, বাড়ি তৈরীর জন্য দরকার রড, সিমেন্ট ইত্যাদিও। এসব তিনি কীভাবে জোগাড় করলেন?—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ভাইরে,আপনাদের প্রশ্ন শুনলে কানতে মন চায়। সেই বিএনপির আমল থেকে এসব জিনিস সংগ্রহ করি। রড, সিমেন্ট, পেরেক, টিয়ার গ্যাস সবই আছে কালেকশনে। বাংলাদেশে এমন কোনো মারামারি নাই, যেইখানে আমি অংশগ্রহণ করি নাই। লোকজন মারার বদলে খালি জিনিসগুলা সাইডে আনছি...এইতো...পাপ কাজও করলাম না, বাড়িও বানাইলাম। হে হে হে....’

এমন বুদ্ধি আপনার মাথায় কীভাবে আসলো? আমাদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ফাইভ মিনিটস ক্রাফটের ভিডিও দেখে।‘

৬৭৯ পঠিত ... ১৭:৫৩, এপ্রিল ২০, ২০২২

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top