কিছু বুঝে উঠার আগেই আমি করোনায় মারা গেলাম। স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের কানাডায় নামিয়ে ঢাকায় আসার পথেই সম্ভবত আক্রান্ত হয়েছিলাম। ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ায় মাউন্ট এলিজাবেথেও যেতে পারলাম না।
চেতনা ফিরলে দেখি আমি একটা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে। মাথার সাড়ে তিনহাত উপরে সূর্য্য। নীচে তামার জমিন। বুঝলাম, নরকের লাইনে আছি। পাশেই গাছের ছায়ায় আরেকটি লাইন—সেটি স্বর্গে ঢোকার। সেই লাইনে হিটলারকে দেখে চমকে উঠলাম। চিৎকার করে প্রহরীকে বললাম, এ কেমন বিচার? আমি না হয় জমি দখল আর
তিনটা ব্যাংক লুট করে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার করে নরকে যাচ্ছি, কিন্তু এত মানুষ মেরেও হিটলার কেন স্বর্গে যাবে?
প্রহরী ঠান্ডা গলায় জানালো, হিটলার অন্তত একটা ভালো কাজ করেছিলেন, তিনি হিটলারকে খুন করেছিলেন। আর আপনার জন্য আমাদের করোনা পাঠাতে হলো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন