‘চলো, এখানে বসি,’ মেয়েটি বলল।
‘না, ওই বেঞ্চিতে বসি গিয়ে, চলো,’ ছেলেটি বলল। ‘ওখানে বালু আছে। সোনালি বালু আমার পছন্দ।’
ছোট্ট বেঞ্চিতে পাশাপাশি বসে রইল তারা। প্রায় শরীরে শরীর ঠেকিয়ে। গাছের ছোট্ট এক ডাল দিয়ে বালুতে আঁকিবুঁকি কাটছিল চিন্তামগ্ন ছেলেটি।
‘কী আঁকছ?’
‘তোমাকে।’
‘আমার মতো হয়নি।’
‘তাতে কী!’
আঁকার কাজটি সহজ ছিল না। শুকনো বালু গড়িয়ে ফিরে ফিরে আসছিল আগের জায়গায়।
‘দ্যাখো, দ্যাখো, একটা গুবরে পোকা উড়ে গেল,’ বলল মেয়েটি।
‘পোকাটা মেয়ে।’
‘কোত্থেকে জানো?’
‘পুরুষ পোকা অত নিচ দিয়ে ওড়ে না।’
একটা দমকা হাওয়া এসে মুছে দিল সোনালি বালুর ওপরে ওর আঁকা ছবি।
‘চলো না, কাল আবার আমরা এখানে দেখা করি,’ মেয়েটি বলল। ‘তুমি নিশ্চয়ই আসবে, আসবে না?’
‘আসব।’
কিন্তু পরদিন ছেলেটি এল না। এল না তার পরের দিনও। এমনকি দুদিন পরেও। পেরিয়ে গেল একটি মাস। সে আর এল না।
মেয়েটি মাঝে মাঝেই আসে এখানে, বসে থাকে বেঞ্চিতে। একা। ভাবে। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারে না, ছেলেটি আর ফিরে এল না কেন। মেয়েটি তো আর জানে না, ছেলেটির বাবা-মা ছেলেটিকে ভর্তি করে দিয়েছে অন্য এক কিন্ডারগার্টেনে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন