মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা নেয়া করছে মেট্রোরেল। মেট্রোতে চড়ার পর থেকে গন্তব্যে পৌছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো যাত্রীদের। বসে থাকা বা গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার থাকতো না তাদের। উদাস বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হতেন যাত্রীরা। তাদের এই বিরক্তি দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে কনকা ফ্রিজ। মেট্রোরেলের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ সহ, বসার চেয়ার, দেয়াল সব জায়গা ছেয়ে গিয়েছে কনকা ফ্রিজের পোস্টারে। অলস বসে থাকার চেয়ে নান্দনিক সব পোস্টার উপভোগের এই সুযোগ বেশ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে মেট্রোরেলের যাত্রীরা। তবে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন পদ্মাসেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের নিয়মিত যাত্রীরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গার বারেক নামে এক ব্যক্তি জানান তিনি ব্যবসায়িক কাজে প্রতিনিয়ত পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে আসা যাওয়া করেন। ঢাকায় মেট্রোরেলের মধ্যে যেমন বিনোদনের ব্যাবস্থা রয়েছে, এর পিলারগুলোতে যেমন পোস্টার এক্সিবিশন হয়, পদ্মাসেতুতে তেমন ব্যবস্থা নেই। ফলে দীর্ঘ একটি পথ অলস বসে পাড়ি দিতে হয় যাত্রীদের। এছাড়া মেট্রোরেলের যাত্রীরা তো এইসব পোস্টারের আলাদা ভাড়া পরিশোধ করেন না। তবে তাদের জন্য রেলের ভেতরে পোস্টার লাগানো থাকলে বঙ্গবন্ধু টানেলের যাত্রীরা কী দোষ করলো। একই দেশের নাগরিকদের প্রতি দুই ধরনের আচরণ বৈষম্যের সৃষ্টি করছে মন্তব্য করেন চট্টগ্রামের চিন্ময় নামের আরেক বাসিন্দা।
খ্যাতনামা মনোবিজ্ঞানী মেহবুবা খানম বলেন, দীর্ঘ সময় অলস বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রীদের মধ্যে উদাসীনতা বা বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অন্যন্য মানসিক রোগের আশঙ্কা থেকেই যায়। ফলে পরিবহনগুলোর ভেতরে বা বাইরে পোস্টার লাগানোর উদ্যোগ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। উন্নত রাষ্ট্রগুলোর উচিত যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে এই ব্যবস্থার অনুকরণ করা। মেট্রোরেলের এই সফলতা থেকে আমাদেরও উচিত পদ্মাসেতু এবং বঙ্গবন্ধু টানেলে এই প্রক্রিয়া চালু করা।
পদ্মা সেতু এবং বঙ্গবন্ধু টানেলে এই পোস্টার সংকটের মুহূর্তে দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ মনে করেন একজন ব্যক্তিই পারেন এই সংকটের সমাধান করতে। হাজী সাইফুদ্দিন মিলনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন আমরা ছোটবেলা থেকে তার পোস্টার দেখে দেখে বড় হয়েছি। এই একজন ব্যক্তিকেই আমরা দেখেছি যিনি পোস্টার লাগানোতে কোনো কার্পণ্য করেন নি। তার দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আমরা আর কোনো পথ দেখছি না।