প্রতিটি প্রেমিক প্রেমিকাই একটি সুস্থ প্রেমের সম্পর্কে বাঁচতে চান। এর জন্য নানাজনকে নানারকম ইফোর্টও দিতে দেখা যায়। কেউ প্রেমিক প্রেমিকাকে দেখার জন্য পাড়ি জমান দূর দূরান্ত, কেউ প্রতিটি অকেশনেই দেন উপহার, আবার কেউ কমিউনিকেশনের উপর বিশেষ জোর দেবার চেষ্টা করেন । তবে এবার পাঠকদের জন্য eআরকির হাতুড়ে গবেষক দল জানালেন বিশেষ ফলাফল। বিশেষ গবেষণাটিতে জানা যায় , বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডকে মাসে একবার ব্লক করলে সম্পর্ক সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর থাকে। ৪০০ জন মানুষের উপর এ সমীক্ষাটি করা হয় শুক্রবার ভোর রাতের স্বপ্নে।
এ ব্যাপারে রোজিনা খাতুন (১২) নামে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী বলেন, ’ছোটবেলা থেকে প্রেম নিয়ে অনেক প্যারা খাইছি । ক্লাস টু থেকে টোটাল ৫টা বয়ফ্রেন্ড ছিলো। কারো সাথেই ঝগড়া-টগড়া তেমন হতো না, তবুও শেষমেষ কেন যেন সম্পর্ক টিকতো না। আল্টিমেটলি ব্রেক আপ। কিন্তু রিসেন্টলি আমি খুব নতুন একটি জিনিস আবিষ্কার করেছি। আমার লাস্ট বয়ফ্রেন্ড ক্লাস এইটের একজন সিনিয়র ভাইয়া, তার সাথে আমি খুব ভালো আছি। কারণ হিসেবে দেখলাম উনার সাথে আমার বেশ ঝগড়া-টগড়া হয়। মাঝে মাঝে ঝগড়াগুলো এমন পর্যায়ে যায় যে ব্লক দিতে বাধ্য হই। এর পরবর্তী একমাস আবার সব ঠিক এবং পারফেক্ট, আলহামদুলিল্লাহ! অনেকেই আমার কাছে রিলেশনশিপ অ্যাডভাইস চাইতে আসেন। তাদেরকে বলি, সম্পর্ক ভালো রাখার মূলমন্ত্র হলো মাসে একবার ব্লক করা …’ এই বলে একটু লাজুক হাসি দেন রোজিনা।
শুধু ব্লকই নয়, তুই তোকারি, ক্ষেত্রবিশেষে গালাগালি, এমনকি মারামারিও সুস্থ সম্পর্কের লক্ষণ—এমনটিই জানালেন eআরকি বিজ্ঞানী দসদুইয়েদ্গ। তিনি জানান, ’ঝগড়ার ফলাফল আইসবার্গ থিওরির মতই। উপরের দিকে খালি ঝগড়ার খারাপ দিক ফিল করা যায় , নিচের সম্পূর্ণটুকুই সম্পর্কের উন্নয়ন…’
গোপন সূত্রে জানা যায়, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে জোড়া লাগছে অনেক ভাঙা প্রেম। এমনকি অনেকেই স্বামী-সন্তান ফেলে ফিরে যাচ্ছে এক্স বয়ফ্রেন্ডের কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক নারী বলেন ,’বিয়েটা খুব স্মুথ ছিলো, শান্তিপূর্ণ যাকে বলে। তবুও খালি মনে হয় কী জানি নাই, কী জানি নাই। এই বিজ্ঞানীর দলকে অসংখ্য ধন্যবাদ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য কী ছিলো না সেখানে। বয়ফ্রেন্ডের কাছে যাচ্ছি। মাসের শুরুতেই ব্লক দিবো নাকি শেষে এখনো ডিসাইড করতে পারছি না…’
