ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই উত্তেজনার বারুদ উষ্কে দিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। জানা যায়, এই যুদ্ধ নিয়ে গতকাল বিকেলে নিজেদের মধ্যে একটা প্রীতি সংঘর্ষের আয়োজন করেন তারা। শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে দুভাগে ভাগ হয়ে নিজেদের মাঝে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত কারা জিতেছে সে খবর পাওয়া যায়নি।
এই প্রীতি সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক বৃদ্ধ বলেন, ‘অনেকদিন ধরে প্রীতি সংঘর্ষের জন্য কোন ইস্যু খুঁজে পাচ্ছি না। সে কারণে ছাগল, মুরগি, হাঁস নিয়ে সংঘর্ষ করেছি। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একটা প্রভাব পড়ছিলো। ইস্যুটা সামনে আসায় উদযাপনের সুযোগটা আর মিস করতে চাইনি।’
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ন্যাটোর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘ন্যাটো গভীরভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংঘাত পর্যবেক্ষণ করছে। যদিও এখনো পর্যন্ত সেখানে সৈন্য পাঠানোর কোন ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী পারলে আমাদেরকে কিছু মই দিতে পারেন। আমাদের সব মই ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ইউক্রেনে মই পাঠাতে পারছি না। এই মুহূর্তে ওদের মইয়ের অনেক বেশি প্রয়োজন।’
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংঘর্ষের বিষয়ে জাতিসংঘের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। ‘আপনারা কী করছেন’ জানতে চাইলে মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মহাসচিব নিজের ফেক আইডি থেকে বলেন, ‘আমরা হচ্ছি হিমু। হিমুরা কিছু করে না শুধু দেখে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়ে মতামত জানিয়েছে যুক্তরাস্ট্রও। যুক্তরাস্ট্রর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকা কখনো এইসব বরদাস্ত করবে না। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে নজর রাখছি। ভালোভাবে নজর রাখার জন্য ইতোমধ্যে বাইনোকুলারও অর্ডার দেয়া হয়েছে।’