তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিক আমদানি করছে আমেরিকার ফেডারেল ব্যুরো ইনভেস্টিশন (এফবিআই)। একটি সম্পূর্ণ ভূয়া তথ্য সূত্র থেকে জানা যায়, পরীমনিকে নিয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের লাগাতার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো নজর কেড়েছে তাদের। এদেশের সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী মেধা, লেগে থাকার প্রজ্ঞা ও সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ এফবিআই এর কর্মকর্তাদের মুগ্ধ করেছে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য পরীমনি বিভাগে কাজ করা কয়েক হাজার সাংবাদিককে চাকরি দিবেন বলে একটি ভূয়া সূত্র মাধ্যমে জানান তারা৷
এ বিষয়ে এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তা নিজের ফেক ফেসবুক আইডি থেকে আমাদের বলেন, 'তদন্তের ফলাফল লিক করার এক অদ্ভূত ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের। চাঞ্চল্যকর, অবিশ্বাস্য, গোপন তথ্য ছাড়া তারা কোন প্রতিবেদনই করেন না৷ ওইদিন দেখলাম, গোয়েন্দা বিভাগ কার কার উপর নজর রাখছে তাদের নাম, ঠিকানাসহ এমন বিভিন্ন কনফিডেন্সিয়াল তথ্যও তাদের হাতে চলে আসে। রিমান্ডে আসামী কী কী বলছে, রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই সেসব তথ্য তাদের হাতে চলে আসে। এমন মেধা পৃথিবীতে বিরল ভাই, আমাদের এই মেধাগুলোকেই চাই। এরপর অন্যান্য দেশের কনফিডেন্সিয়াল তথ্য ক্যামনে হাতে নিয়া আসি দেখেন।'
আলোর গতির চেয়েও বাংলাদেশি সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের গতি বেশি বলে জানান অন্য এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগে এক ধর্মীয় নেতার ফোনালাপ একটা টেলিভিশন চ্যানেলের হাতে চলা আসা আমাদের মুগ্ধ করেছে! এত দ্রুত! কীভাবে সম্ভব। পৃথিবীর সেরা হ্যাকারদের পক্ষেও এত দ্রুত এই কাজ সম্ভব না এই লোকগুলোর উচিত এফবিআই এর উচ্চপদে বসা। হুদাই তারা সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ে থেকে বিশ্বের গোয়েন্দা বিভাগের বিরাট ক্ষতি করছে।'
পৃথিবীর বাঘা বাঘা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদেরকে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শেখার আহবানও করেন এফবিআই। পাশাপাশি এই সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের নতুন গোয়েন্দাদের ট্রেনিংয়ের বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত একজন বলেন, 'অনুসন্ধান কাকে বলে বাংলাদেশি সাংবাদিকতা তা দেখিয়ে দিয়েছে। পরীমনির অতিত, বর্তমান, ভবিষ্যত সব তারা পুলিশের আগেই জেনে বসে আছে। অনুসন্ধানের ইতিহাসে এমন নজির বিরল।'
এই সময়ে বাংলাদেশের তদন্ত বিভাগ নিয়ে একটু হাসি ঠাট্টাও করেন কয়েকজন অফিসার। তারা বলেন, 'এরা হুদাই পরিশ্রম করে তদন্ত করে। আমরা হলে কয়েকজন সাংবাদিকদের দায়িত্ব দিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতাম।'