ভবিষ্যতে কেমন হবে আঁকাআঁকি, এই বিষয়ে লাগামছাড়া কল্পনার মজাদার কার্টুন যেমন ছিলো, তেমন ছিলো এই প্রযুক্তির 'ব্ল্যাক মিরর' দিকটাও। অর্থাৎ প্রযুক্তির মানুষকে গ্রাস করে নেওয়ার অন্ধকার দিকটাও, মানে কি না এমন সব কার্টুন যেগুলো দেখে বিজ্ঞদের মতো মাথা নাড়িয়ে পাশের জনকে বলতে হয় ‘হুম.. বুঝলে বিষয়টা।’
প্রদর্শনীতে ভবিষ্যতের আর্ট বিষয় ছাড়াও ছিলো ফ্রি ক্যাটাগরি ও বিভিন্ন বাংলাদেশি তারকাদের ক্যারিক্যাচার। নির্মলেন্দু গুণ, গুরু জেমস থেকে শুরু করে মারজুক রাসেল পর্যন্ত বিভিন্ন তারকাদের ভীষণ মজার সব ক্যারিক্যাচার দেখা গেছে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীর তিনদিনই ছিলো উপচে পড়া ভীড়। অসংখ্য দর্শককে রামগড়ুরের ছানার মতো প্রদর্শনীতে ঢুকতে দেখা গেলেও, সবাই সদানন্দের মতোই হাসিমুখে প্রদর্শনী থেকে বের হতে দেখা গেছে। দ্বিতীয় দিন থেকে প্রদর্শনীতে ছিলো লাইভ ক্যারিক্যাচারের ব্যবস্থা, অসংখ্য উৎসাহী দর্শক সোৎসাহে নিজের কিম্ভূতকিমাকার চেহারা আঁকিয়ে নিয়েছেন তাদের প্রিয় কার্টুনিস্টদের থেকে।
এছাড়াও প্রদর্শনীতে ছিলো গরুর হাটের মতো বিরাট মুল্যহ্রাসে ওয়াকম গ্রাফিক ট্যাব কেনার সুযোগ, বাংলাদেশের ওয়াকম ডিস্ট্রিবিউটর রেড অ্যাপল কম্পিউটার্স এ ব্যবস্থা করেন।
প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয় প্রদর্শনীর শেষদিন। ফিউচার অব আর্ট ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরষ্কার লাভ করে নাজমুস সাকিবের কার্টুন ‘মোনালিসা’। নির্মলেন্দু গুণের ক্যারিক্যাচার এঁকে ক্যারিক্যাচার ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরষ্কার পান প্রসূন হালদার। আর ট্রাম্পকে নিয়ে এক কার্টুন এঁকে ফ্রি ক্যাটাগরিতে প্রথম হন সালমান সাকিব শাহরিয়ার। এই তিনজনের হাতেই ওয়াকমের পক্ষ থেকে পুরষ্কারস্বরূপ ওয়াকম গ্রাফিক ট্যাব তুলে দেওয়া হয়। এভাবেই প্রদর্শনীর পর্দা নামে ৫ তারিখ সন্ধ্যায়।