২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী মিরসরাইয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মমকর্তাকে জানান লজিস্টিক থেকে শুরু করে গোয়েন্দা পর্যন্ত, যা কিছুরই সহায়তা প্রয়োজন, তিনি তার দল থেকে দিতে পারবেন। এ কথা শোনার পর থেকেই গোয়েন্দাপাড়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। দলে দলে জামায়াতে যোগ দিতে চাচ্ছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা সব গোয়েন্দারা।
আমাদের এক প্রতিনিধি স্বপ্নের মাঝে বিশ্বখ্যাত গোয়েন্দা শার্লক হোমসের সাক্ষাৎকার নিলে তিনি জানান, ওয়াটসনটাও বিয়ে করে চলে গেল, আমাকে সাহায্য করার কেউ নেই। জামায়াতে যোগ দিতে পারলে আমাকে দল থেকেই সরকারি কাজে রিক্রুট করা হবে। এটা আমার জন্য বড় একটা সুযোগ। আমি সিভি জমা দিয়েছি জামায়াতের গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেয়ার জন্য। আমাকে মনোনীত করলেই বেকার স্ট্রিট ছেড়ে একবারে চলে আসব। আশা করছি তারা আমাকে সুযোগ দেবেন।
অপরদিকে ঢাকার রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে করতে আমরা দেখলাম ব্যোমকেশ বক্সী, কাকাবাবু আর ফেলুদা একসাথে বসে এক টং দোকানে চা খাচ্ছেন। কাছে যেয়ে বাংলাদেশে কী করছেন জিজ্ঞেস করতেই ফেলুদা জানালেন, তপসেটা বড় হয়ে আজকাল আর কথাবার্তা শোনে না। ওদিকে জটায়ুও অবসর নিয়েছেন। এখন আমার জন্য একা কাজ করাটা বেশ কষ্টের। দেখলাম জামায়াত থেকে গোয়েন্দার দল নিয়োগ করে দেবে সরকারি কাজে, সুযোগটা হেলায় হারালাম না। চলে আসলাম সিভি দিতে। ফেলুদার কথা শেষ না হতেই কাকাবাবু বলে উঠলেন, ফেলুবাবু ঠিকই বলেছেন, একা কাজ করা যায় না। আর আজকাল যে যুগ পড়েছে, তাতে আমাদেরকে কেউ সেভাবে আর ডাকে না। জামায়াতে যোগ দিলে বাংলাদেশের সব রহস্যের সাথে আমরা ভালোভাবে কাজ করতে পারব। তাই সিভিটা গুছিয়ে চলে এসেছি। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। এই কথার মাঝে সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ শুধুই মুচকি হাসছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, স্যার, আপনার কী মতামত এ ব্যাপারে? ব্যোমকেশ একটু গলাটা পরিষ্কার করে বললেন, সত্য খুঁজতে খুঁজতে বাংলাদেশে এসেছিলাম। কিন্তু যেকোন দেশে ঢুকেই তো আর রহস্যের সমাধান করতে পারব না, লাগবে আইনি সহায়তা। তখনই চোখে পড়ল, জামায়াত থেকে গোয়েন্দাদের সরকারি কাজে নিয়োগ দেওয়া হবে তাই সোজা চলে আসলাম।
অপরদিকে আমাদেরকে এক ফেক ফোনকলে তিন গোয়েন্দার প্রধান কিশোর পাশা জানিয়েছেন, তারা যেহেতু বয়সে একটু ছোট, তাই আপাতত তারা ছাত্রশিবিরে যোগ দিয়ে তাদের ছায়াতলে কাজ করতে চান। আরেক ফোনকলে মিতিন মাসী আমাদের এক প্রতিনিধিকে জানান, জামায়াতের মহিলা শাখায় যোগ দিতে তিনি আবেদন করে ফেলেছেন। তাকে যদি দলে নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে বাসায় বসেও পাঁচ ঘন্টা কাজ করতে আগ্রহী আছেন।


