এক লোক রাস্তায় বের হয়েই একটা ট্যাক্সি পেয়ে গেল। ট্যাক্সিতে উঠে বসার সাথে সাথেই চালক বলে উঠল ‘পারফেক্ট টাইমিং! আপনি একেবারে জেমসের মতো।’

যাত্রী: কে?

চালক: জেমস স্মিথ। সে এমন একটা মানুষ, যে সবকিছু একেবারে ঠিক সময়ে করতে পারে। এই যে আপনি যেমন রাস্তায় বের হয়েই ট্যাক্সি পেয়ে গেলেন, জেমসের সাথে সবসময় এমনটা হয়।

যাত্রী: প্রত্যেকেই কিছু বিষয়ে ভাগ্যের সহায়তা পায়।

চালক: না না, জেমসের ব্যাপারটা মোটেই এমন না। সে একজন দক্ষ অ্যাথলেট। ফুটবল খেললে সে প্রতি বছর ব্যালন ডি’ অর পেত। ক্রিকেট খেললে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দিত। গাইতে পারত ফ্রেডি মার্কারির মতো, নাচতে পারত একেবারে মাইকেল জ্যাকসনের মতো। আপনি যদি তার পিয়ানো বাজানো শুনতেন কখনো! সে এক বিস্ময়কর মানুষ।

যাত্রী: শুনে মনে হচ্ছে, জেমস অনেক স্পেশাল কেউ!

চালক: আরও আছে। তার মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতো প্রখর। সে সবার জন্মদিন মনে রাখতে পারত। খাবার দাবার নিয়ে ছিল তার অগাধ জ্ঞান। তার রান্না খেলে আপনার অন্য কিছু খেতেই আর ভালো লাগবে না। সে যে কোন কিছু সারাতে পারত। আমার মতো না। আমি একটা ফিউজ বদলাতে গেলেই পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। কিন্তু জেমস সব একদম ঠিকঠাক করতে পারত।

যাত্রী: ওয়াও! এমন মানুষও হয়?

চালক: সে সবসময় জানত কোন রাস্তায় জ্যাম কম। সে পুরো দেশের সব রাস্তা চিনত। জেমস জানত কীভাবে স্ত্রীকে খুশি রাখতে হয়। কখনোই সে তার স্ত্রীকে কষ্ট দেয়নি। এমনকি তার বউ কোন ভুল করলেও সে কখনো কিছু বলেনি। তার পোশাক আশাক সবসময় পরিপাটি থাকত, জুতা সবসময় পালিশ করা। সে আসলেই একজন পারফেক্ট মানুষ! জেমস কখনো কোন ভুল করেনি। দুনিয়ার কেউ কখনো জেমস স্মিথ হতে পারবে না।

যাত্রী: আপনার সাথে তার দেখা হয়েছে কীভাবে?

চালক: আমার সাথে কখনো জেমসের দেখা হয়নি। সে মরে গেছে। পরে আমি তার বউকে বিয়ে করেছি।