গ্রাম বাংলার লোডশেডিংকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করলো ইউনেস্কো

৫৯ পঠিত ... ১৪:০১, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

25

সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন, কুইক রেন্টালের দুর্দান্ত সফলতার আরও একটি অসাধারণ সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, বছরের পর বছর ধরে একইরকম সফলতা ধরে রাখায় গ্রাম বাংলার লোডশেডিংকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইউনেস্কো।

গ্রাম বাংলা ঘুরতে এসে তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ইউনেস্কোর কর্তা ব্যক্তিরা৷ একটা সম্পূর্ণ অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে এমনটাই জেনেছে eআরকি।

ইউনেস্কো থেকে জানানো হয়, যখনই যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে গ্রাম বাংলার লোডশেডিঙের ঐতিহ্যকে কেউ হারিয়ে যেতে দেয়নি। বুকে আগলে রেখেছে আপন সন্তানের মতো করে। শতভাগ বিদ্যুতের আশ্বাস নিয়ে কুইক রেন্টাল এসেছে, সে কুইক রেন্টালের বিদ্যুত বিক্রি করে একজন বিশ্বের শীর্ষ ধনিদের লিস্টেও চলে এসেছে, তবু কেউ লোডশেডিঙের মতো ঐতিহ্যে হাত দেয়নি। লোডশেডিং থেকে গেছে ঐতিহ্য হয়েই।

লোডশেডিং গ্রাম-বাংলার জীবনে এতটাই অপরিহার্য যে ইউনেস্কোর এক কর্মকর্তা জানান, গ্রাম বাংলার মানুষের মৌলিক চাহিদা ৬টি। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও লোডশেডিং। একটা বিষয় যখন এভাবে মানুষের জীবনের অপরিহার্য মৌলিক চাহিদা হয়ে যায়, তখন সেটিকে আসলে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি না দেয়টা অন্যায় হয়ে যাবে।

দেশের এমন সাফল্যে বেশ খুশি বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তারা। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত কারেন্টের সুইচ বন্ধ করে তো ওনারাই এই সুনাম ধরে রেখেছেন। এক কর্মকর্তাকে এই স্বীকৃতির খবর জানালে তিনি খুশিতে দুইবার লোডশেডিং দেন।  

এবং জানান যে, এখন থেকে দুইবার বেশিই লোডশেডিং দেবেন তিনি।

এইদিকে এমন স্বীকৃতির পর লোডশেডিঙের অন্যতম কারিগর বিদ্যুত ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, সামিট গ্রুপসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হবে। এই উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ে আরও কয়েক সেট মরিচ বাতিও লাগানো হবে। বিরাট আয়োজন করেই এই সাফল্য উদযাপন করতে চান তারা।  

৫৯ পঠিত ... ১৪:০১, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

Top