‘হাসতে নাকি জানে না কেউ, কে বলেছে ভাই?’ কথা সত্য, জানে সবাই। কিন্তু রোজকার জীবনের চাপে এই চেনা হাসিটাই আমরা হাসতে ভুলে যাই। তাতে কী ক্ষতিটা হয়? হয়, অনেক ক্ষতিই হয়। হাসলে যে লাভগুলো হয়, সেগুলো না পাওয়াটাই তো আসলে ক্ষতি। দেখে নেয়া যাক হাসির দশ গুণাগুন:
১. উদ্বেগ কমায়:
প্রতিদিনের জীবনে কত চাপ! একটু হাসুন মনখুলে, দেখবেন চাপ অনেকটাই উধাও! মানসিক চাপ আর দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে যায় যদি আপনি প্রাণখুলে হাসতে পারেন।
২. হাসলেই এন্ডরফিন নিঃসরণ:
হাসি এন্ডরফিন নিঃসরণ বাড়ায়। আর এই হরমোন যতোই নিঃসরণ ঘটায়, আপরা ততোই ফুরফুরে অনুভব করি। কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!
৩. রক্ত চলাচল করবে মনের সুখে:
নিয়মিত হাসি মানেই নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন। তাতে হৃৎপিণ্ডের থাকে ভালো, কমে হৃদরোগের ঝুঁকি।
৪. জীবনিশক্তি বেড়ে যাবে ধেই ধেই:
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা বেশি হাসেন তাদের গড় আয়ু যারা কম হাসেন তাদের থেকে বেশি! তাহলে আর কী… বেশি বেশি হাসুন, একটূ হলেও বেশি বাঁচুন।
৫. রোগ প্রতিরোধ হবে শক্তিশালী:
হাসি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সচল রাখে। এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধেও হাসি কার্যকরী। হাসি টি-সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত হাসলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এমন হবে যে, রোগ আসলেই ঢিসুম!
৬. মন-মেজাজ ভালো রাখে:
এটা কে না জানে! খিটিখিটে মেজাজ? হাসিতেই সমাধান! এমনকি কদুর তেল মাখা ছাড়াই মাথা ঠাণ্ডা রাখে!
৭. বিষন্নতাকে বলুন বাই-বাই:
হাসি মন ভালো রাখে এবং মানসিক সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বেশি করে হাসুন।
৮. সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়:
শরীর সুস্থ রাখতে সেরোটোনিনের গুরুত্ব অপরিসীম। সেরোটোনিন প্রাকৃতিক পেইন কিলার। যত হাসবেন, তত ভালো অনুভব করবেন।
৯. একাকীত্ব কমায়:
সামাজিক দক্ষতা বাড়ায়ে সাহায্য করে হাসি। একজন সুখী মানুষকে সবাই পছন্দ করে যে সবার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
১০. শরীরকে শিথিল রাখে:
আপনি কি জানেন, একটি ভালো হাসির পরে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শরীরের পেশী শিথিল থাকে। শারীরিক স্ট্রেস নিরাময়ে হাসি উপকারী।
হাসি নানাভাবে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে রক্ষা করে। তাই বেশি করে হাসুন, সুস্থ থাকুন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন