বিশ্বের সব দেশের পাসপোর্ট হয় মাত্র চারটি রঙে- নীল, লাল, সবুজ এবং কালো। পাসপোর্টে এই চারটি রঙ থাকা কেউ বাধ্যতামূলক করেনি। তাহলে কেন সবগুলো দেশের পাসপোর্ট এ চারটি রঙেই সীমাবদ্ধ?
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) পাসপোর্টের লেখার ফন্ট কেমন হবে, ফন্ট সাইজ কেমন হবে , পাসপোর্টের কাভারের ম্যাটেরিয়াল কী হবে, এসব বিষয়ে দেশগুলোকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু পাসপোর্টের রঙের বিষয়ে তাদের কোনো পরামর্শ নেই।
পাসপোর্ট মূলত চারটি রঙের হলেও কোনো কোনো দেশে এই রঙগুলির বিভিন্ন শেড ব্যবহার করা হয়। অনেক দেশের পাসপোর্টে ডিপ ব্লু, আবার অনেক দেশ হালকা ব্লু, রেড বা গ্রিন ব্যবহার করা হয়। এ চারটি রঙ ব্যবহার করার মূল কারণ, এগুলো দেখতে অফিশিয়াল বা ফরমাল।
আবার বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে এই চারটি রঙের ভিন্ন ভিন্ন অর্থও আছে। যেমন, বেশিরভাগ আরব বা মুসলিম দেশের পাসপোর্ট সবুজ, কারণ এই রঙটি ইসলাম ধর্মের জন্য সিগনিফিকেন্ট। ১৯৭৬ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ পাসপোর্ট নীল রঙের, তার আগে ১৯৪১-১৯৭৬ পর্যন্ত দেশটির পাসপোর্টের রং ছিল সবুজ। আইসিএও’র নীতিমালা অনুসারে পাসপোর্টের কাভারে এমন উপাদান ব্যবহার করতে হবে যাতে কোনো ক্ষতি ছাড়া এটিকে মোড়ানো যায় এবং ১৮-১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা সহনীয় হয়।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন