নির্বাচনের বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরেরদিন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন হয় এবং পরের বছরের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট শপথ নেন। এর মাঝখানে প্রচুর আনুষ্ঠানিকতা আছে। এখানে জানুয়ারির ২০ তারিখটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন নিয়ে যা-ই হোক না কেন, এই তারিখের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করতেই হবে, সেটা যেই পদ্ধতিতেই হোক না কেন।
জানুয়ারির ২০ তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আগের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বিশতম সংশোধনী অনুসারে ‘প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ২০ জানুয়ারি দুপুরে শেষ হবে এবং এরপর থেকেই তাদের উত্তরসুরির সময় শুরু হবে।’
মানে, ২০ জানুয়ারি দুপুরের আগেই নতুন প্রেসিডেন্টকে শপথ নিতে হবে, যদি কয়েক ঘন্টা পরও শপথ নেন, তাহলেও ওই সময়ের জন্য একটা সাংবিধানিক শুন্যতা তৈরি হবে।
প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সাধারণত ঝাঁকঝমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই পর্যন্ত তিনবার জানুয়ারির ২০ তারিখ রবিবার হওয়ায় সেদিন প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয়নি। ২০ তারিখ ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট শপথ নিয়ে রাখলেও অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছে পরের দিন।
জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে কোনোভাবেই যদি প্রেসিডেন্ট নির্ধারিত করা না যায়, তাহলে কী হবে, সেটাও সংবিধানে উল্লেখ করা আছে।
সংবিধান অনুসারে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট কে হবেন, সেটি নির্ধারিত না হলে আগের প্রেসিডেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষমতায় থাকবেন না, বরং কংগ্রেস অন্তবর্তী সময়ের জন্য এই পদে একজনকে নিয়োগ দিবে। এই নিয়োগকৃত ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনত বৈধভাবে একজন প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্ধারিত না হবেন।
এমনটা কখনো হয়নি। তাই বাস্তবে এটা হলে কেমন হবে, সে বিষয়ে বেশি একটা ধারণা করা যাচ্ছে না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন