আমাদের জীবনে মহামারির প্রভাব নিয়ে ১০টি চিন্তা

৯৪৪ পঠিত ... ০৪:৫৬, এপ্রিল ০১, ২০২০

পৃথিবীর এক অদ্ভুত রোগ হয়েছে। যদিও এই ধরণের রোগ হওয়ার আগে আমরা নানা লক্ষণ ঠিকই পাই। অনেকে সাবধান করে দেন, অনেকে বলেন চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে, আবার অনেকে তো ধরেই নেন এই রোগই বুঝি সবকিছু শেষ করে দেবে। কিন্তু পৃথিবী তো মহা ব্যস্ত! অতো পরামর্শ শোনার সময় কোথায়? তাই পৃথিবী সেসব কথার কতটা মূল্য দেয় বা আদৌ দেয় কিনা সে বিষয়ে বেশ সন্দেহ আছে!  

২০১৬ সালে 'বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি কাঠামো গঠনমূলক কমিশন' এর একদল আমেরিকান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, বর্তমান সময়ে জনবহুলতা, নগরায়ন এবং অত্যাধিক গতিশীলতার কারণে সংক্রামক রোগের আবির্ভাব ও তা অতি দ্রুত ছড়িয়ে গিয়ে বৈশ্বিক সংকট তৈরি করা আমাদের বিশ্বের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং বিপজ্জনক অবস্থা। 

নোবেল বিজয়ী জীববিজ্ঞানী জশুয়া ল্যাডারবার্গ এক দশকেরও আগে আমরা যে বিশ্বব্যাপী সংক্রামক রোগ তৈরির এক নতুন যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি- এমন সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।  

যুগে যুগে এমন অনেক সতর্কবাণীর দিক থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি। যদিও ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যাবে মহামারি রোগগুলো কিভাবে মুহূর্তে গোটা এক মানবসভ্যতা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। পরিবার কিংবা সমাজ থেকে শুরু করে পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতবাদ পাল্টে দিয়েছে। মহামারি যেমন সকল ব্যবস্থাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে অসাড় করে ফেলতে পারে, তেমনি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়ে সকলকে পুনর্জীবনও দান করতে পারে। 

মহামারি করোনাও পুরো বিশ্বের মাঝে ভয়, শঙ্কা, ভালোবাসা ও সহানুভূতির এক অদ্ভুত মিশেল তৈরি করেছে। এখানে সেই মহামারি রোগগুলোর অন্তর্নিহিত শক্তি কিভাবে বিশ্বের গতিময়তা ও চরিত্র বদলে দিতে পারে সে বিষয়গুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করা হল। 

 

১#
প্যান্ডেমিক বাইবেলের চার অশ্বারোহীর একটি যা আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে এবং মানবেতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। 

চার অশ্বারোহীর বলতে খ্রিষ্টান ধর্মতত্ত্বে, মূলত নিউ টেস্টামেন্টের যে অংশে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। ঈশ্বর যেখানে বিপদগামী মানুষকে চার প্রকার শাস্তি দেন। এগুলো হলো মহামারি, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ এবং মৃত্যু। 

সাদা ঘোড়া ঈশ্বর বা সত্যিকে তুলে ধরে। লাল ঘোড়া যুদ্ধা যুদ্ধের বাইরে যুদ্ধের প্রতীক। কালো ঘোড়া শুভ ও অশুভের মধ্যে দ্বন্দ্ব তুলে ধরে। আর চতুর্থ অশ্বারোহী জীবাণু আর মহামারির শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। আমার বই ‘দ্য ফোর হর্সমেন’-এ প্রায় ৩০ বছর আগেই যা উল্লেখ করেছি যে, আমরা নিজেদেরকে এখন আর ইতিহাসের অংশ মনে করি না। অথচ আমাদের সমাজ তো  অতীতের প্লেগের চলমান স্মৃতি ছাড়া কিছু না। 

 

২#
পৃথিবীব্যাপী মহামারির ঘটনাগুলো সাধারণ মনে হলেও, এগুলো মূলত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানবসভ্যতার কৃষিভিত্তিক বিশেষ গবেষণারই ফসল। 

অত্যাধিক জনবহুলতা, পানি দূষণ, বৃক্ষ নিধন থেকে শুরু করে অপুষ্টি, ভূমিক্ষয় কিংবা নতুন নতুন কৃষিজাত পরীক্ষা-হোমো সেপিয়েন্স নামক মহান এক প্রজাতি মহামারিকে স্বাগতম জানাতে নিত্যনতুন দূর্যোগের অবতারণা করেই চলেছে। ঠিক যেমন, ষোড়শ শতাব্দীতে চাইনিজ কৃষকরা কীট-পতঙ্গ হতে মুক্তি পেতে ধানের ক্ষেতে হাঁস ছেড়ে দিয়েছিল। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে পাখির ভাইরাস যায় শূকরের মধ্যে এবং শূকরছানা থেকে এক লাফে তা মানুষের মধ্যে চলে আসে। কৃষকরা এই বিশেষ গবেষণায় সফল হোক কিংবা নাই হোক, ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক মহামারী ভাইরাস ছড়ানোতে রাতারাতি সফল হয়েছিল। 



৩#
নিয়মিত হাত ধোয়া, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং ভিড়ভাট্টার উপর নিষেধাজ্ঞার মতন 'নন-ফার্মাসিউটিক্যাল' উদ্যোগ যেকোনো প্লেগের বিস্তার কমিয়ে আনতে পারে। 

সাম্প্রতিক মহামারি করোনা এর বড় উদাহরণ। দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালির বর্তমান অবস্থার পর্যালোচনা করলেই ব্যাপারটি টের পাওয়া যায়। চীনের প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় যেখানে ১৪ মার্চ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৬৭, সেখানে ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১২৬৬ ছাপিয়ে গিয়েছে। তার কারণ, রোগটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার আগেই দক্ষিণ কোরিয়া দ্রুত টেস্ট করিয়েছে, রোগীদের শনাক্ত করেছে, হোম কোয়ারাইন্টাইনের ব্যবস্থা করেছে এবং কিছু দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই তো, কোরিয়ায় যখন ২৪০,০০০ জনের টেস্ট নিয়ে কোয়ারান্টাইনে রাখতে হয়েছে ৮০০০ জনকে, তখন ইতালিতে ৯৭,০০০ জনের টেস্টে কোয়ারান্টাইনে আছে প্রায় ২০,০০০ মানুষ।

 

৪#
মহামারি রোগগুলো পুরো বিশ্বে নিজেরা ছড়ানোর সাথে সাথে ছড়িয়ে দেয় দোষারোপ, চক্রান্ত ও ধর্ম-বর্ণ-জাতি বিদ্বেষের এক নির্মম খেলা। 

ইউরোপে যখন প্লেগ তার ভয়ানক বিষ ছড়িয়ে দিতে শুরু করে তখন হর্তাকর্তারা দিশেহারা হয়ে যান। তাই বলির পাঠা হিসেবে 'দ্য ব্ল্যাক ডেথ' এর সকল দোষ চাপিয়ে দেন ইহুদিদের উপর (তারা নিতান্তই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে চলতো যার ফলে আক্রান্ত হত কম এবং এ কারণে সকলে তাদের সন্দেহ করতে শুরু করে)। আবার, শিল্পবিপ্লবের সময় হতদরিদ্ররা কলেরা রোগে মারা যেতে শুরু করেন। এই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো ভেবেছিলেন তাদের নির্মূল করার জন্যই বুঝি ধনীরা এই রোগের আবিষ্কার করেছেন। এমনকি তারা দাঙ্গা বাঁধিয়ে ধনীক শ্রেণী ও পেশার মানুষদের আক্রমণও করেছিলেন। স্প্যানিশ ফ্লু'ও যখন আফ্রিকায় এসে পৌঁছায় তখন যথারীতি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গরা আঙুল তুলেন কালো চামড়ার মানুষগুলোর দিকে। নিগ্রোদের কাজ করার জায়গাগুলো ছিল জনবহুল যার ফলে তাদের মধ্যে ফ্লু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও হু হু করে বাড়তে থাকে। তাই সংক্রমণের দায়-ও এসে পড়ে তাদের উপর। 

COVID-19 এর ফলে চাইনিজদের দিকেও পুরো বিশ্ব আঙুল তুলেছে। যদিও ভাইরাসটির সংক্রমণ উহান মার্কেট থেকে হলেও এর উৎপত্তি উহান মার্কেট নাও হতে পারে এমন রিপোর্ট প্রচুর দেখা গেছে।

 

৫#
পণ্য বিনিময়ের মত মহামারি রোগ বিনিময়েও দূর্দান্ত ভূমিকা পালন করে বিশ্ব বাণিজ্য। 

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইউরোপে ইঁদুরের আগমন ঘটিয়েছিল সিল্ক রোড। যার ফলে ইউরোপে মহামারি প্রবেশ করে এবং প্রতি চারজনে একজনের মৃত্যু হয়। ক্রীতদাস আনাগোনার ফলে দুই মহাদেশে দাবানলের মত রোগ ছড়িয়ে পড়ে। কলেরার স্রোত গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ পেরিয়ে ইউরোপের বাণিজ্য পথ ধরে বড় বড় শহরের বস্তি এলাকায় বাসা বাঁধে৷ বাষ্পচালিত জাহাজে করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও স্প্যানিশ ফ্লু পৌঁছে গিয়েছিল সারা বিশ্বে। এভাবেই বিশ্ব বাণিজ্যের বদৌলতে পুরো বিশ্বভ্রমণ করেছিল মরণশীল সব ভাইরাস। 

 

৬#
প্রতিটি মহামারি রোগই চলে যাওয়ার পরও সমাজে রেখে যায় অনন্য সব ছাপ। 

'দ্য ব্ল্যাক ডেথ' সকলের উপর এমন কালো ছায়া নিয়ে এসেছিল যে অত্যাচারী জমিদাররা বাধ্য হয়েছিল শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে দিতে এবং খাজনা কমিয়ে দিতে। এই মৃত্যুস্রোত মানুষের সাথে ঈশ্বর এবং প্রকৃতির মেলবন্ধন-ও বেশ জোরদার করে। 

টিউবারকিউলোসিসে কারো কল্যাণ না হলেও, এর কল্যাণে গৃহহীন, নিরাশ্রয় মানুষের অবস্থা সম্পর্কে সবাই জানতে পারে।  

 

৭#
মানুষের জীবনে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর সাথে সাথে মহামারি রোগ অর্থনীতিতেও ভীষণ বিশৃঙ্খলা ও গোলমাল তৈরি করে ফেলে। 

কানাডার পশম বাণিজ্যের হাল চোখের পলকে পাল্টে দিয়েছিল স্মলপক্স যখন দেশের প্রায় সকল আদিবাসীরা এই রোগে মারা যেতে শুরু করে। 

১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সালে স্প্যানিশ ফ্লু সারাবিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল এবং বৈশ্বিক জিডিপি ৫% কমিয়ে এনেছিল। ইবোলার প্রাদুর্ভাবে ২০১৪-১৫ সালে সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া এবং গিনির জিডিপি কমে গিয়েছিল ১০%। বর্তমান বিশ্বায়নের এ যুগে কোভিড-১৯ হতে পারে সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল মহামারী রোগ যার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পুরো বিশ্বকে। 

 

৮#
মহামারি কখনই বিশ্বনেতাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল না। বরং সারা বিশ্বের কাছে বিশ্বনেতাদের দুর্বলতা ও ত্রুটির পরিচয় করিয়ে দিতেই যেন এদের আগমন ঘটতো!

প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এতটাই বদ্ধপরিকর ছিলেন যে তিনি ইনফ্লুয়েঞ্জা আগমনের সতর্কবার্তা কানেই তোলেননি এবং ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে আটলান্টিক সৈন্যদলের আনাগোনা কী ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়েও মাথা ঘামাননি। সেই সুযোগে যুদ্ধ শেষে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করে ফ্লু'তে আক্রান্ত সৈন্যদল তুলে দিয়েছিল জাহাজে। ফলস্বরূপ, যেখানে যুদ্ধে মারা যায় ৫৩,০০০ আমেরিকান সৈন্য, সেখানে ইনফ্লুয়েঞ্জা কেড়ে নেয় প্রায় ৬৭৫,০০০ আমেরিকানের প্রাণ। 

দক্ষিন আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি বুঝতে পারেননি যে HIV একটি ভাইরাসঘটিত রোগ! পরবর্তীতে তার এই ভুল বোঝার মাশুল গুণতে হয়েছিল হাজার হাজার মানুষকে।

একইভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী দল যখন কোভিড-১৯ এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্টিং কিট ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন তিনি এটিকে বাজে কথা বলে উড়িয়ে দেন। বরং তিনি উল্টো ওবামার দলকেই দায়ী করেন টেস্টিং কিটের অপর্যাপ্ততার কারণে! ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই যে, বর্তমানে আক্রান্তের দিক দিয়ে পুরো বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। 

 

৯#
মহামারি রোগগুলো মোটেও সমতায় বিশ্বাসী নয়। বৈষম্যের চরমে গিয়ে তারা প্রতিবার দুর্বলদেরই আঘাত করে।

মহামারি রোগ সকলকে ভয় পাইয়ে দিলেও, সকল ধরণের মানুষকে সাধারণত কাবু করতে পারে না। তাই তাদের লক্ষ্য থাকে গরিব, অপুষ্টিতে ভোগা কিংবা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের দিকে। 

দ্য ব্ল্যাক ডেথ ধনী-গরীব সকলকে আক্রান্ত করলেও মূলত অপুষ্টিতে ভোগা, দুর্বল মানুষই বেশি মারা পড়েছিল। স্মলপক্স আদিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল কারণ তাদের শরীরে এই রোগ প্রতিরোধের জন্য ইমিউন ব্যবস্থা ছিল না। স্প্যানিশ ফ্লু'র সময় ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাদেশিক মৃত্যুহারের চেয়ে আদিবাসীদের মৃত্যুহার ছিল ৭ গুণ বেশি। 

কলেরা প্রথমদিকে শ্রমজীবী শ্রেণীকেই আক্রমণ করেছিল। এইচআইভি আক্রমণ করেছিল মাদকাসক্তদের। ইবোলা গরিব, দুর্দশাগ্রস্তদের পিছু নিয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ বৃদ্ধ ও রোগ-শোকে আক্রান্ত দুর্বল মানুষদের প্রাণই নিয়ে চলেছে। 



১০#
সর্বোপরি, বিশ্বব্যাপী মহামারি আমাদের চারদিকের বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে সচেতন করে এবং আমাদের জীবনধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

কোভিড-১৯ পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছে অত্যাধিক জনবহুলতা, বিশ্বায়ন ও নগরায়নের প্রভাব কিভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করছে। এক ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব হয়ে গেছে কোণঠাসা, ঘরবন্দী। সকল কিছুকে প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের চক্রে ফেলে দেওয়ার পদ্ধতি আমাদের জন্য কতটা যুক্তিযুক্ত সে বিষয়ে আমাদের আরেকবার ভাবার সুযোগ করে দিচ্ছে কোভিড-১৯। কারণ, যুদ্ধ থামাতে এত পারমাণবিক বোমা কিংবা অস্ত্র থেকে শুরু করে পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার অপার চেষ্টায় মত্ত থেকে কী হবে, যদি এক মারমুখী ভাইরাসকেই আমরা প্রতিহত না করতে পারি? 

করোনা ভাইরাসের এই দীর্ঘ বদ্ধ, ভয় ও শঙ্কার দিন শেষে যখন সুদিন এসে কড়া নাড়বে দোরগোড়ায়, ডাকবে আমাদের নতুন দিনে, তখন যারা এই মহামারী বিষ ছাপিয়ে বেঁচে থাকবে তারা সকলেই সেই ডাকে সাড়া দিবে। ছুটে যাবে তাদের ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে। জড়িয়ে ধরে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে আবারো এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ঠিক যেমন ইউভাল নোহা হারারি বলেছেন, 'হ্যাঁ, এই আগুনের দিনগুলো শেষ হবে একদিন, টিকবে মানবসভ্যতা, আমাদের বেশিরভাগই বেঁচে থাকব- কিন্তু বেঁচে থাকব এক ভিন্ন পৃথিবীতে।'


[TheTyee.ca-এ এন্ড্রিউ নিকিফোরাকের ১৭ মার্চ ২০২০-এর লেখার ভাবানুবাদ]

৯৪৪ পঠিত ... ০৪:৫৬, এপ্রিল ০১, ২০২০

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top