আমরা সকলেই পাখির মতন ডানা মেলে আকাশে উড়ে বেড়াতে চাইলেও ছোট্ট মস্তিষ্কের এই উড়ন্ত সম্প্রদায়ের কিছু প্রজাতিকে খুব সহজেই পোষ মানিয়ে ফেলা যায়। আর এমনই এক পোষ মানানো পাখির মালিক আবার দোকানে চুরি করে বেড়ান! তো সেই চোর আবার চুরি করতে গিয়ে কাঁধে করে বেচারা পাখিকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলো। ব্যস! ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে অতো চোর-চুরির ব্যাপার না ঢুকলেও ঘটনাস্থলের একমাত্র সাক্ষী তো হয়ে গেলো সেই পাখি! পুলিশরাও তাই তাকে ধরে নিয়ে খাঁচা না থাকায় থানার লক-আপেই ঢুকিয়ে দিয়েছে।
চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা! কিন্তু ধরা যখন পড়বে তখন তো চোরের সাথে সাথে তার সঙ্গীকেও ধরা পড়তে হবে এবং শাস্তিও পেতে হবে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নেদারল্যান্ডের ইউট্র্যাক্ট শহরে এক দোকানে খরিদ্দারের ছদ্মবেশে এক চোর চুরি করে পালানোর পর তাকে যখন পুলিশেরা ধরতে যায় তখন জানা যায়, চোরের এক সঙ্গীও ছিল। কাঁধে করে নিজের সঙ্গিকে নিয়ে গিয়েছিলেন চোর মহাশয়। আর সেই সঙ্গীও আবার যে কেউ নয়, এক ডাচ পাখি! এ খবর জানার পর ইউট্র্যাক্ট শহরের পুলিশরা চোরকে ধরার সাথে সাথে চোরের বন্ধু পাখিটিকেও বন্দি করে ফেলেছে! আটক করার এক সপ্তাহ পর ইউট্র্যাক্ট পুলিশ তাদের ইনস্টাগ্রাম পেইজ থেকে পাখিটির একটি ছবি পোস্ট করে এবং ক্যাপশন দেয়, 'সদ্য আমরা খরিদ্দারের ছদ্মবেশে দোকানে চুরি করার দায়ে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছি। আটকের সময় আমরা এক পালকে ঢাকা সাক্ষীও পেয়েছি যে কিনা সন্দেহভাজনের কাঁধে বসে ছিল।'
পুলিশ স্টেশনে পাখিটিকে তৃপ্ত রাখতে তারা রুটি পানিরও ব্যবস্থা করেছে। অন্যদিকে পাখিকে আটক করার খবর রিপোর্ট করার সময় নিউজ অর্গানাইজেশন RTV Utrecht পাখির নিরাপত্তা ও পরিচয় গোপন রাখার স্বার্থে পাখিটির চোখ ব্লার করে রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
জানা যায় পরবর্তিতে পুলিশরা প্রমাণের অভাবে পাখিটিকে ছেড়ে দেয়। কারণ, পাখির মালিক পোষ মানিয়ে তাকে কাঁধে নিয়ে ঘুরে চুরি করলেও, পাখিকে তো ওই মুক্ত আকাশেই বেশি মানায়, তাইনা?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন