ফরাসি লেখিকা, বুদ্ধিজীবী, অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, রাজনৈতিক-কর্মী, নারীবাদী ও সমাজতত্ত্ববিদ সিমন দ্য বোভেয়ার কাজ করেছেন নানা শাখায়। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত তার নারীবাদী দর্শনের কারণে। ১৯০৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্যারিসে জন্মেছিলেন তিনি। চলুন পড়ে ফেলা যাক তার অসামান্য কিছু উক্তি, যা আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক।
১#
ব্যক্তির জীবনের মূল্য আছে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ অন্যের জীবনে সে মূল্য আরোপ করতে পারে, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, শ্রদ্ধা আর সহানুভুতির দ্বারা।
২#
সব ধরনের শোষণই যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করে।
৩#
দীর্ঘদিন বেঁচে থাকলে, আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা বিজয় একসময় পরাজয়ে রূপান্তরিত হয়।
৪#
প্রাপ্তবয়স্ক কে? বয়সের ভারে বিপর্যস্ত এক শিশু।
৫#
লেখকের মৌলিকত্ব সবসময়ই শকিং, কেলেঙ্কারিমূলক, সাহিত্যের অভিনবত্ব পাঠককে একই সঙ্গে অস্বস্তি দেয় এবং শেখায়।
৬#
প্রকৃত উদারতা বলতে আমি বুঝি যে, আপনি সবকিছুই দিয়ে দিলেন কিন্তু আপনার মনে হয় যে আপনার কোনো কিছুই হারায় নি।
৭#
সিসিফাসের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক হলো গৃহকর্ম, এর অন্তহীন পুনরাবৃত্তি: পরিষ্কার করলেন, আবার ময়লা হলো, আবার পরিষ্কার করলেন আবার ময়লা হলো, বার বার, দিনের পর দিন।
৮#
নারীদের পুরো ইতিহাস নির্মাণ করেছেন পুরুষরা। আমেরিকায় যেমন, শুধু কৃষ্ণাঙ্গদের সমস্যা বলে কিছু নাই, বরং তা মূলত শ্বেতাঙ্গদের সমস্যা; এন্টি-সেমিটিজম যেমন ইহুদিদের সমস্যা না, আমাদের সমস্যা; একইভাবে নারী-সমস্যা সবসময় আসলে পুরুষদের সমস্যা।
৯#
ডায়েরি একটা অদ্ভুত জিনিস: যা আপনি লেখেন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যেগুলো বাদ দেয়া হয়।
১০#
রাজনীতি থেকে দূরে থাকাও এক ধরণের রাজনৈতিক আচরণ।
১১#
শোষকেরা সবসময়ই তাদের শোষণের পক্ষে প্রয়োজনীয়তার দোহাই দেয়।
১২#
ভালোবাসার মানুষকে ঘৃণা করার মতো ক্লান্তিকর আর কিছু নেই।
১৩#
কেউ নারী হয়ে জন্মায় না, ধীরে ধীরে নারী হয়ে ওঠে।
১৪#
সেইসব পুরুষরাই নারীদের প্রতি বেশি অ্যারোগেন্ট, আক্রমণাত্মক বা বিদ্বেষপূর্ণ, যারা তাদের নিজেদের পৌরুষ নিয়ে চিন্তিত।
১৫#
স্বামী শিকার একটা শিল্প, আর স্বামীকে ধরে রাখা হলো চাকরি।
১৬#
ঘুমন্ত সুন্দরীকে জাগানোর কাজ না থাকলে আকর্ষণীয় রাজপুত্র করতোটা কী?
১৭#
ইতিহাসে যদি নারী জিনিয়াসের সংখ্যা খুব কম পাওয়া যায়, তার কারণ সমাজ তাদের কাজ করার সুযোগকে অস্বীকার করে।
১৮#
তার ডানা কেটে তাকে দোষারোপ করা হলো যে সে সে উড়তে পারে না।
১৯#
বাচ্চা জন্মানোই যে অনেক নারীর সবচেয়ে বড় অর্জন– এই ধারণা আসলে বিজ্ঞাপনী স্লোগানের মাধ্যমে তৈরি করা।
২০#
মেয়েরা বিধিনিষেধের চাপে কাতর, ছেলেরা প্রত্যাশার চাপে- দুইটাই সমান ও ভয়াবহ ক্ষতিকর চর্চা।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন