আপনি গোয়েন্দাকাহিনীর পাঠক হলে নিশ্চয়ই আগাথা ক্রিস্টির লেখার সঙ্গে পরিচিত। পড়েছেন হারকিউল পয়রো বা মিস মার্পলের রোম্যাঞ্চময় নানান রহস্য উদ্ঘাটনের কাহিনী। বিখ্যাত বেলজিয়ান গোয়েন্দা হারকিউল পয়রো একই রহস্যের জট খুলেছেন ৩৩টি উপন্যাসে এবং ৫০ টিরও অধিক গল্পে। মিস মার্পল ১২টি উপন্যাস এবং ২৭টির বেশি গল্পে রহস্য উন্মোচন করেছেন।
গোয়েন্দারা রহস্য উদ্ঘাটন করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো গোয়েন্দা কাহিনীর লেখকের পক্ষে মারা যাওয়ার পরেও কি রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব?
বিখ্যাত গোয়েন্দাকাহিনী লেখক আগাথা ক্রিস্টির ক্ষেত্রে কিন্তু সম্ভব হয়েছিল। অন্তত রহস্য উদ্ঘাটনে তাকে ক্রেডিট দেয়াই যায়।
হাসপাতালে একটা বাচ্চা কোনো এক অজানা রোগে মারা যাচ্ছিলো। অথচ ডাক্তাররাও বুঝতে পারছিলো না সেটি কী রোগ। সৌভাগ্যক্রমে হাসপাতালে শিশুটির দেখভাল করছিলো যে নার্স সে ছিলো আগাথা ভক্ত।
একপর্যায়ে সেই নার্সের আগাথা ক্রিস্টির উপন্যাস ‘দ্য পেইল হর্স’ এর কথা মনে পড়ে। উপন্যাসটির এক চরিত্র থ্যালিক পয়জিং এ আক্রান্ত হয়েছিলো।সেই নার্স অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো উপন্যাসের চরিত্রের রোগের লক্ষণের সঙ্গে অদ্ভুত মিল হাসপাতালের ওই মুমূর্ষু শিশুটির।
শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে নার্স বাচ্চাটির থ্যালিয়াম লেভেল পরীক্ষা করে দেখেন। পরীক্ষা করে দেখা গেলো শিশুটির শরীরে থ্যালিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দশগুণ বেশি। চিকিৎসা শেষে শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। পরবর্তীকে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো শিশুটির বাসায় নিয়মিত কীটনাশক রাখা হতো। সেই কীটনাশকের মধ্যেই থ্যালিয়াম ছিলো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন