লকডাউনের ঈদে যে ১০টি উপায়ে ঘরে বসেই বানাবেন ঈদের জামা

৬৯৯ পঠিত ... ২২:১১, মে ২০, ২০২০

করোনাকালের এই লকডাউনের ঈদে সীমিত আকারে শপিংমল খুলেছে বটে। কিন্তু করোনা থেকে নিরাপদ থাকার লক্ষ্যে অনেকেই যাচ্ছেন না মার্কেটে, কিনছেন না ঈদের জামা। সেটাই আসলে এই মুহূর্তে করোনাকমুক্ত থাকার সর্বোত্তম পন্থা। কিন্তু তাই বলে কি নতুন জামা ছাড়াই ঈদ করবেন এবার? মানবসভ্যতায় কাপড় আবিষ্কারের আগে আমাদের পূর্বপুরুষরাও কিন্তু বানিয়েছেন নতুন জামা। সেদিক বিবেচনায় মার্কেট খোলা বা বন্ধ কোনো ব্যাপারই না, জামা বানাবেন অরগানিক পদ্ধতিতে। আমাদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ও eআরকির নিজেদের আবিষ্কার করা (গরিব তো, বুঝেনই...) আধুনিক ফ্যাশনের সমন্বয়ে ঘরে বসেই নতুন জামা বানানোর ১০টা টিপস থাকছে আপনাদের জন্য (একেবারে এক্সক্লুসিভ, কাউকে এই লিংক দিবেন না!)...

১# খবরের কাগজ কেটে বানিয়ে ফেলতে পারেন জামা কিংবা শার্ট। খবরের কাগজের প্রিন্টের জামার কনসেপ্ট তো আগে থেকেই আছে। এবার ঈদে আপনার জামা হবে 'হ্যান্ডমেইড অরিজিনাল নিউজপ্রিন্ট'।

২# প্যান্ট বা সালোয়ার বানানোর ক্ষেত্রে চটের বা পাটের বস্তার ব্যবহার বাড়াতে পারেন। পাটের সাথে পরিবেশবান্ধব তকমা যেভাবে লাগানো আছে, কে জানে আপনি হয়তো পরিবেশবান্ধব ফ্যাশন যুগের আইডলও হয়ে যেতে পারেন। পুরষ্কার-টুরষ্কার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে...

৩# এক্সচেঞ্জ পদ্ধতি এপ্লাই করতে পারেন। ছেলেরা বোন, গার্লফ্রেন্ড বা বউয়ের পুরোনো কামিজকে ব্যবহার করতে পারেন পাঞ্জাবি হিসেবে, আর ছেলেদের পাঞ্জাবি দিয়ে হয়ে যেতে পারে মেয়েদের কামিজ। এক্সচেঞ্জ করার পর জামাগুলো উভয়ের জন্যই কিন্তু নতুন।

৪# সেই কবে কাবলি জামা পরছেন! জুব্বা পাঞ্জাবিও পরেন না হয়তো অনেকদিন। আব্বার আলমারিতে ঘাটাঘাটি করলে জুব্বা বা কাবলি পেয়ে যেতে পারেন। মেয়েরা মায়ের শাড়ি পরে, ছেলেরা পারে না; এমন আফসোসেরও অবসান ঘটবে। আর মেয়েদের জন্য মায়ের শাড়িতো আছেই।

৫# গাছের ছালবাকল, পাতা ইত্যাদি দিয়েও জামা বানানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনি হয়তো জানেন না, আমাদের পূর্বপুরুষরা এভাবেই লজ্জা ঢাকতেন। এত সিনিয়র মানুষ তারা, তাদের ফলো করা যেতেই পারে। ঘাস-পাতা দিয়ে জামা বানিয়ে শাইখ সিরাজকে একটা খবর দিয়ে দিতে পারলে বোনাস হিসেবে পেয়ে যেতে পারেন কৃষিফ্যাশন স্পেশালিস্টের তকমা।

৬# টাকা দিয়ে জামা বানাতে পারলে এই ঈদ আপনার জীবনের প্রথম 'সেভিংস' করতে পারার মতো ঈদ হবে। আপনাকে বিবস্ত্র করে কেউ নিশ্চই সালামি নিতে চাইবে না! তবে ঝুঁকি এড়াতে দুই টাকার নোট ব্যবহার করুন, এতে কম টাকাও খরচ করতে হবে আর বিবস্ত্র হওয়ার রিস্কও কম...

৭# দুটো জামাকে একটা করে কম্বো ড্রেস বানাতে পারেন। কেটে জোড়া দিয়ে আরকি। নতুনের মতোই দেখাবে। তবে এই লকডাউনে দুটো পুরোনো জামা কাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। একটা পুরোনো জামা কাটুন, আর ফ্লোর মোছা বা পাতিল ধোয়ার জন্য মা আপনার যেব জামাকে কোরবানি করেছে সেখান থেকে আরেকটা নিয়ে নিন।

৮# হাড়ি-পাতিলওয়ালা হোমসার্ভিস দিতে আসলে তাকে ধরুন। তার কাছে আপনার অনেক পুরোনো জামা আছে। ওগুলো ওর কাছ থেকে কিনে নিন, এতে জামা কেনার একটা ফিলও পাবেন, হোক না নিজেরই পুরানো জামা...

৯# এই ঈদে বাসায় পালন করুন 'যেমন খুশি তেমন ঈদের জামা' সিস্টেম। বাসার সবার জামাকে একসাথ করে সেখান থেকে জামা নিয়ে 'যেমন খুশি তেমন সাজুন'।

১০# আচ্ছা, ওকে, এইবার আমরা সিরিয়াস! দেখুন, ঈদে নতুন জামা পরতেই হবে এমন কোন কথা কিন্তু নাই। পুরোনো, পরিষ্কার আর পবিত্র জামা হলেই হবে। তাছাড়া এবার ঈদে কোথাও যাওয়ার সম্ভাবনাও নাই, ঈদের জামায়াতেও না যাওয়া উচিত। তাহলে এমন ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে শপিং এ গিয়ে কেনই বা নিজেকে ও নিজের পরিবারকে ঝুঁকিতে ফেলবেন? বাসার পুরোনো জামা গুলো নিশ্চয়ই ছিড়ে যায় নাই, খেয়াল করে দেখুন গত ঈদের জামা-পাঞ্জাবি এসবও প্রায় নতুনই আছে। ওগুলো পরেই হয়ে যাক এবারের সাদামাটা ঈদ। করোনাকাল কেটে গেলে সামনের ঈদে ডাবল শপিং কইরেন!

৬৯৯ পঠিত ... ২২:১১, মে ২০, ২০২০

Top