সবসময় সাবটাইটেল দিয়ে সিনেমা দেখা ঠিক না। ইহা স্বাস্থ্য এবং সম্পর্কের জন্য হানিকারক।
এই সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতির যুগে তো আর কেউ যুক্তিতর্ক না দিয়ে বোঝালে কিছু বিশ্বাস করে না। ওকে, তবে শোনেন একটা রিয়েল লাইফ ঝাকানাকা উপদেশমূলক গল্প। গতকাল রাতে স্বপ্নে এসে স্বয়ং ঈশপ আমাকে এই গল্প লিখতে বলেছে।
তো হয়েছে কি... আমার বন্ধু রনি পল। বাড়ি খুলনায়। পড়ে আমার সাথে। এক শনিবার বললো, 'ধুর *ড়া, একটা প্রেম করতে পারলাম না।' রবিবার বলে, 'ধুর বা*, ভার্সিটিতে উঠে কী *ল ছিড়তেছি। একটা প্রেম করতে পারলাম না। ধুর *ড়া! এই *ড়ার লাইফে কোনো প্রেম নাই। এবার একটা প্রেম করতেই হবে *ড়া।'
প্রেম করবোই, এই সংকল্প নিয়ে একদিন সে গেলো প্রপোজ করতে। কিন্তু *ড়া প্রেমটা হলো না! কিউট কিউট দুইটা পুতুল গিফট নিয়ে গিয়েছিল। দিদি বলে, থ্যাংকস রনি। তোমার ভাগ্নেভাগ্নি খুব খুশি হবে!
বেচারা রাগে-ক্ষোভে আর কারও পোস্টে লাভ রিয়্যাক্ট পর্যন্ত দেয় না।
অবশেষে মাসখানেক আগে আমার রুমে এসে শুধাইলো, প্রেমটা হয়ে গেল *ড়া। মেয়ে নাকি দেবীর মতো দেখতে। শুধু দর্শন পাইতে ইচ্ছে করে।
এই দর্শনই তার জীবনে শনি হয়ে আসল। ও ভালো কথা। এর মাঝে একটা তথ্য মিসিং হয়ে গেছে! রনি ছেলেটা বিসিএস পিপারেশনের জন্য সারাদিন এমপিথ্রি পড়ে, আর বিনোদনের জন্য সাবটাইটেল দিয়ে সিনেমা দেখে। সাবটাইটেল ছাড়া সে সিনেমা দেখতে পারে না।
সেদিন এই সাবটাইটেল দিয়ে মুভি দেখার অভ্যাসের কারণেই সেই পরম আরাধ্য প্রেমিকা তাকে ছ্যাকা দিয়ে ব্যাকা করে চলে গেছে।
ওয়েট। বিস্তারিত বলছি। শুনুন রনি এবং তার প্রেমিকার কথোপকথন-
প্রেমিকা: এ রকম অভদ্র কেন তুমি, হ্যাঁ? শুধু আমার ব্যাপারে হইলেও কথা ছিল। তুমি নাকি সব মেয়েদের দিকেই এভাবে তাকাও। এভাবে কথা বলো! ছি! ছি ছি!
রনি: কিভাবে?
প্রেমিকা: ন্যাকামি কর, তাই না? তুমি কথা বলো কোন দিকে আর তাকাও কোন দিকে, হ্যাঁ? অসভ্য কোথাকার!
'ধুর *ড়া। আর কোনদিন সাবটাইটেল দিয়ে সিনেমা দেখব না। *ড়া আমার!'- এটাই রনির সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন