হেলেন ছিলেন নয়নাভিরাম সৌন্দর্যবতী। জিউসের মেয়ে হেলেনের পাণিপ্রার্থীরা সবাই হেলেনের জীবনসঙ্গী হবার স্বপ্ন দেখতো। সবার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে হেলেন বিয়ে করেন স্পার্টার রাজা মেনেলাউসকে।
ওদিকে আফ্রোদিতি, হেরা আর এথেনার মাঝে কে বেশী সুন্দর নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয় ট্রয়ের রাজকুমার প্যারিসকে। আফ্রোদিতি প্যারিসকে ডেকে বলেন, সে আফ্রোদিতিকে সেরা সুন্দরী হিসেবে নির্বাচিত করলে, তাকে পৃথিবীর সেরা সুন্দরী হেলেনকে ইন্দ্রজালে ফেলে প্যারিসের জীবনে এনে দেবে।
প্যারিস এইভাবে ট্রয়ের জন্য ট্রফি হিসেবে জিতে আনেন, পরমা সুন্দরী হেলেনকে। মেনেলাউস তখন হেলেনের অন্য প্রাণিপ্রার্থীদের একসংগে করে আগামেমননকে সঙ্গে নিয়ে ট্রয় আক্রমণ করেন।
ট্রয়ের যুদ্ধে প্যারিস নিহত হলে; মেনেলাউসের ইচ্ছা হয়, হেলেনকে হত্যা করতে। কিন্তু হেলেনের রূপের ইন্দ্রজালে নিথর হয়ে যায় মেনেলাউস।
হেলেন তখন জলযানে করে চলে আসেন, লাইলাতুল সিয়াসাতের রঙ্গভবনে ঢুকে, আফ্রোদিতির চরণে লুটিয়ে পড়লে; আফ্রোদিতি তিরিশ রত্ন সভার সংরক্ষিত আসনে বসান সৌন্দর্য্যের জাদুঘর হেলেনকে।
এ খবর পেয়ে হেলেনের ছেলে তালুকদারেট জয়েসের মাথা খারাপ হয়ে যায়। সে নিজেকে লাইলাতুল প্রিন্স বলে ঘোষণা করে উচ্চস্বরে ‘জয় ট্রয়’ বলে বেরিয়ে পড়ে।
তৈলবান গোত্রের এক পরমাসুন্দরীকে বিয়ে করে; বরযাত্রী নিয়ে ট্রয় থেকে রঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে হেলেন পুত্র। পথে তৈলরং খেলতে খেলতে পায়রা সেতুতে এসে পড়লে, টোল কর্মী বার্ট্রান্ড রাসেল সেতুর টোল চায়!
: তুই আমাকে চিনস নি ব্যাডা আমি কেডা!
: আমি যেই হন, টোল দিয়া যান স্যার!
: টোল কী টাকায় চাস না কী ঘুষিতে চাসরে বেয়াদ্দব! স্যার কী; প্রিন্স জয়েট বল; আমরা জয় ট্রয়ের লোক। আমরা না চাইলে সূর্য ওঠে না; নদীতে জোয়ার আসে না; বাঘেরা ঘুম থিকা ওঠে না!
এরপর জয় তার লাইয়াতুল শকট থেকে নেমে পিটুনি দেয় রাসেলকে; সিসিটিভিতে দেখা যায়; হিংস্র তৈলবানেরা একাকী টোল কর্মীকে পেটাচ্ছে।
পরে ট্রয় থেকে হেলমেট পরা আরো কিছু তৈলবান সৈনিক এসে টোলপ্লাজায় এসে যুদ্ধ ঘোষণা করলে; ট্রয়ের নতুন এই যুদ্ধে ছয়জন আহত হয়।
নববিবাহিতা মুগ্ধ হয়, হে তালুকদারেট জয়েস, তুমি পোকিত হেলেন পুত্র; তৈলবান শাসিত সরকারের বাহুবলী।
ওদিকে ট্রয়ের জনগণ এমন সব ছদ্ম প্রতিবাদের ভং করে; যাতে দেবী আফ্রোদিতি রাগ না করেন। দুনিয়ার স্ত্রৈণরা সবাই মিলে তাই একজন মন্ত্রী কেন স্ত্রৈণ! তা নিয়ে রগড় করে আকুলি বিকুলি হয়।
অথচ টোলপ্লাজায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাসেল কেন সংরক্ষিত হেলেনের পুত্র জয়েসের হাতে মার খেলো, তা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। যতক্ষণ না দেবী আফ্রোদিতি বলছেন, ‘এই রাসেল আমার ভাই; ততক্ষণ পর্যন্ত টোলপ্লাজার এই রাসেল নোবডি।‘
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন