যে কারণে সকাল থেকে শাজাহান খান কোনোভাবেই হাসি থামাতে পারছেন না

১৩৩০ পঠিত ... ২১:৩৮, মার্চ ১৯, ২০১৯

সকাল থেকেই শাজাহান খান ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না। একটু পরপর হাসি আসছে কেন?

সাধারণত অ্যালার্ম ক্লকে ঘুম ভাঙলেও আজ ঘুমের মধ্যেই হাসির চোটে ঘুম ভেঙে গেছে শাজাহান খানের। কোনোমতে মুখে পানি-টানি দিয়ে মুখ চেপে হাসি বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন বটে, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। হেচকির মতো বারবার যেন গালগলা ভেঙে তাঁর খিচুনি দিয়ে হাসি উঠছে।

কেউ কি রাতে এসে সারা ঘরে লাফিং গ্যাস ছড়িয়ে দিলো? ভড়কে গেলেন শাজাহান। তবে হাসির ঠেলায় ঠিকমতো ভড়কানোরও সুযোগ পাচ্ছিলেন না। হুটহাট যেন হাসিটা বাড়ছে, আবার কমে যাচ্ছে। কখনো শাজাহান মেঝেতে গড়াগড়ি করে হাসছেন, আবার হাঁপিয়ে উঠে কোনোরকম মুখ টিপে মুচকি হাসছেন। তবু হাসি থামার নাম নেই।

দম ফাটানো হাসি বুঝি একেই বলে।

শাজাহান খান ইশারায় ইঙ্গিতে ডাক্তার ডাকতে বললেন। প্রথমে একজন ডাক্তার এলো, তারপর আরও। দুপুরের মধ্যে দেখতে দেখতে মেডিকেল বোর্ড বসে গেলো তার এই অদ্ভুত হাসি রোগের কারণ উদঘাটন করতে।

ঘরে কোনোভাবে লাফিং গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছিল কিনা তা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠিত হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।

অনেকক্ষণ মেঝেতে গড়াগড়ি করে হাসার পর একটু সামলে উঠে শাজাহান খান দুপুরবেলা টিভির সামনে বসলেন। খবরে দেখা যাচ্ছে, সকালে ঢাকার কুড়িল এলাকার বসুন্ধরা গেটের সামনে দুটি বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে মারা গেছে এক শিক্ষার্থী।

খবরটা কানে যেতেই শাজাহান খান কোনোভাবে নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না, হা হা হো হো করে হেসে উঠলেন। মনে হলো, এত হাসি তার এখনো পর্যন্ত আসেনি। শেষবার যেদিন জাবালে নূর রমিজ উদ্দিনের দুই শিক্ষার্থীর উপর বাস তুলে দিল, সেদিন এমনটা হেসেছিলেন তিনি।

শাজাহান খান তদন্ত কমিটি-মেডিকেল বোর্ডকে থামতে বললেন। ঢাকার সড়কে কারো দম ফাটলেই তার এমন হাসি আসেই। এটা এত ব্যস্ত হওয়ার মতো কোনো বিষয় না।

১৩৩০ পঠিত ... ২১:৩৮, মার্চ ১৯, ২০১৯

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top