সম্প্রতি একটি ওয়াজে আমির হামজা বলেছেন তিনি জাবিতে জার্নালিজমে চান্স পেয়ে পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু হলে থেকে এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মদ দিয়ে কুলি করছে এক ছাত্র। এরপরেই তিনি সেখান থেকে রীতিমতো পালিয়ে চলে আসেন। এই ওয়াজের ভিডিওটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে জাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
অনেকেই জিজ্ঞেস করেছেন, হুজুর এত গোপন কথা কীভাবে জেনে গেলেন? এদিকে একজন জাবি শিক্ষার্থীকে অত্যন্ত বিরস মুখে ঘুরে বেড়াতে দেখে আমরা জানতে চাইলাম তিনি কিছু বলতে চান কিনা। তিনি জানালেন, তার নাম আয়ান, তিনি জাবিতে জার্নালিজমে পড়ছেন। গত কিছুদিন ধরে রুমের মদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সকালে কুলি করতে পারছেন না। তার বড়ই কষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে আরেক শিক্ষার্থী আমাদেরকে জানান, তারা মাউথওয়াশের বদলে মদ দিয়েই কুলি করতেন। কিন্তু এ কথা এতদিন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই ছিল। এখন হুজুর প্রকাশ করে ফেলায় মদের চাহিদা বেড়ে গেলে দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেসময় মদের বদলে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হলে বেশ ঝামেলায় পড়ে যাবেন।
এদিকে মদের বাজারে লেগেছে খুশির জোয়ার। আগে শুধু জাবিতেই মাউথওয়াশ হিসেবে মদ কেনা হত, এখন আশা করা যাচ্ছে আরও অনেকেই জানবে মদ মাউথওয়াশ হিসেবে কতটা ভালো, ফলে বাড়বে চাহিদা। এক গুপ্ত সাক্ষাৎকারে একজন মদ বিক্রেতা আমাদেরকে জানান, এতদিনে আমাদের বাজারে একটা নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। হুজুরকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।