সরকার পতনের পর থেকেই শেখ হাসিনা এখন লুটিয়েন্স বাংলোর লালচে পর্দার আড়ালে পলাতক। সে কারণে এ বছর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ‘মা’ দিবসও যেন শোকে-দুঃখে নির্বাক।
মা দিবস এসেছে, কিন্তু নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জন্য এবছর সবকিছুই অন্যরকম। ক্ষমতা হারানোর বেদনায় ভেঙে পড়া এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, যিনি বর্তমানে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি পরিত্যক্ত ড্রেনের পাশের গর্তে অবস্থান করছেন, সেখান থেকেই ফিসফিস করে জানিয়েছেন, এবার মা দিবস পালন করতেছি না ভাই। মা তো দেশে নাই। মা’র অনুপস্থিতিতে কি আর মা দিবস হয়?
সেই ফিসফাসের ভেতরেও এক ধরনের হারানোর ক্ষত, এক নীরব আর্তনাদ যেন ধ্বনিত হয়। তার চোখে-মুখে কেবল ভগ্নস্বপ্ন, আর ফেসবুকের ‘মেমোরিজ’ অপশনে ভেসে ওঠা গত বছরের মায়ের সঙ্গে তোলা বানানো ছবির ছায়া।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে গুলিস্তান, ফার্মগেট, এবং মিরপুরের কয়েকটি ব্যস্ত এলাকায় দেখা গেছে ছাত্রলীগের কিছু ‘আন্তরিক কর্মী’ পুরনো ড্রেনের ভিতর থেকে বা গর্তের মুখ থেকে ফেসবুক লাইভে আসছেন। একেকজনের লাইভ যেন একেকটি মঞ্চনাটক, যেখানে কান্না, হতাশা, আবেগ আর নাটকীয়তার দুর্দান্ত মিশেল। কেউ মোটা একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে, গর্ত থেকে কেবল চোখ আর মোবাইলটা বের করে বলছেন—মা... মা... তুমি কোথায় গেলা মা?
গর্তজীবী আরেক ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের বলেন, আগে মানুষরে আমরা গেস্টরুম করাইতাম এখন আমাদের মানবতার আম্মো নিজেই গেস্টরুমে, এমন মা দিবসও দেখা লাগবে কোনোদিন কল্পনাও করি নাই।