উনিশ'শ সাতচল্লিশ সালের পর ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন খুব বেশি ছিল না। বর্তমান কাপ্তান বাজারে প্রথমদিকে নাট্যাভিনয়ের জন্য ছোট একটা অডিটোরিয়াম ছিল, মাহবুব আলী ইনস্টিটিউট (নামে সামান্য ভুল হতে পারে)। এখানেই মাঝে মাঝে নাটক অভিনীত হতো।
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথমদিকে শহীদ আলতাফ মাহমুদ ও নৃত্যশিল্পী নিজামুল হক মিলে 'গণনাট্য' নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এখানে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক ছেলেমেয়ে নাচ ও গান শিখতো। পরে আলতাফ মাহমুদ চাকরি নিয়ে করাচিতে চলে গেলে গণনাট্য ভেঙে যায়।
এর কিছুদিন পর ঢাকার ওয়াইজঘাটে প্রতিষ্ঠিত হয় এদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বুলবুল ললিতকলা একাডেমী (বাফা)। এখানে উচ্চাঙ্গ সংগীত, পল্লীগীতি, রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত ও নাচ শেখানো হতো।
বাফা প্রতিষ্ঠার পর অল্প দিনের মধ্যেই তার সুনাম ছড়িয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকার একাধিক অঞ্চলে বাফার শাখা আছে। বাফার পর সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় 'ছায়ানট' সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান নবাব ফয়জুন্নেসা হলের স্থানে আগে একতলা টিনশেডে উদয়ন স্কুল ছিল। এখানেই ছুটির দিনে ছায়ানটের ক্লাস হতো।
পরে এখান থেকে ছায়ানট স্থানান্তরিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলে এবং সেখান থেকে তাদের নিজস্ব ভবন সাতমসজিদ রোডে। 'ছায়ানট' সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করে বাংলা নববর্ষের প্রভাতে রমনার বটমূলে সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন