ছাগলের এমন অদ্ভুত চোখের রহস্য কী?

১২০৯ পঠিত ... ১৬:৩৪, নভেম্বর ৩০, ২০২০

ছাগলের চোখ অন্য প্রাণীদের চেয়ে আলাদা। আমরা হয়তো অনেকেই এটা খেয়াল করেছি। মানুষ এবং অন্যান্য বেশিরভাগ প্রাণীর চোখের পিউপিল বা আইরিস সাধারণত গোল, বিড়ালের লম্বা, কিন্তু ছাগলেরটা অদ্ভুতভাবে আড়াআড়ি এবং কিছুটা আয়তাকার। ছাগল কেন তাহলে অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে এদিক থেকে ভিন্ন?

প্রাণীর দৃষ্টিগোচরতা ও দৃষ্টিশক্তি নিয়ে গবেষণা করেন মার্টিন ব্যাংকস। তাঁর মতে, কোন প্রাণীর চোখের পিউপিল কেমন হবে, তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর খাদ্যচক্রের উপর। তিনি ২১৪টি প্রাণীর চোখের পিউপিল নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে, এর সঙ্গে প্রাণীগুলোর ইকোলজিক্যাল ভূমিকার সরাসরি সম্পর্ক আছে। শিকারী প্রাণীদের পিউপিল সাধারণত ভার্টিকেল (খাড়া) হয় আর তৃণভোজী প্রাণীর পিউপিল সাধারণত হরাইজন্টাল (আনুভূমিক) হয়। যেসব প্রাণীরা শিকারী প্রাণীদের টার্গেট, তাদের চোখ বিশেষ ধরণের পিউপিল দিয়ে তৈরি। যেমন, ছাগল, হরিণ বা অন্যান্য গবাদি পশু হচ্ছে শিকারী প্রাণীদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। নিজেদের বাঁচানোর জন্য এসব প্রাণীদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হয়।  এসব প্রাণীদের চোখকে দুটো কাজ অবশ্যই করতে হয়- এক. শিকারির হাত থেকে বাঁচতে একই সঙ্গে সবদিকে তীক্ষ দৃষ্টি রাখা, দুই. বন-জঙ্গল দিয়ে দৌড়ানোর সময় তুলনামূলক দ্রুত ও স্পষ্ট ভিশন দেওয়া। আনুভূমিক পিউপিল এক্ষেত্রে কাজে লাগে। কারণ তাদের আকারটাই এমন যে এর ফলে প্যানোরামিক এবং বেশি বিস্তৃত ভিউ পাওয়া যায়, যেটা গোল পিউপিলে সম্ভব না। এই পিউপিলের কারণে কম আলোতেও বেশি স্পষ্ট দেখা যায়। 

তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য অন্য প্রিডেটর (শিকারি) প্রাণীর শিকার হওয়া বেশি সোজা। তাই তাদেরকে সর্বদা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হয় এবং এক্ষেত্রে আনুভূমিক পিউপিল তাদেরকে দারুণভাবে সাহায্য করে। সোজা কথায়, ছাগলের পিউপিল আনুভূমিক হওয়াটা তার বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরী। 

 

১২০৯ পঠিত ... ১৬:৩৪, নভেম্বর ৩০, ২০২০

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top