মেরে ছাত্রলীগ নেতার দাঁত ভেঙে দিয়ে বর্তমানে আলোচনায় রয়েছেন, পুলিশের রমনা জোন থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া এডিসি হারুন। ঘটনাটির পর থেকেই সহমত ভাইদের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র হইচই। অনলাইন থেকে শুরু করে রাজপথ, সব জায়গাতেই চলছে তীব্র প্রতিবাদ। এসবের মাঝেই বিষয়টি নিয়ে eআরকির কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টরুমের দায়িত্বে থাকা এক ছাত্রনেতা।
eআরকি: কেমন আছেন ভাই?
ছাত্রনেতা: ভালো তো ছিলাম, কিন্তু এখন আর নেই। আমাদেরই সহকর্মী, রাজপথের লড়াকু এক সৈনিক ভাইয়ের দাঁত মেরে ফোকলা করে দিয়েছে, যে কাজ আমরা করতাম সে কাজ যদি আমাদেরই সাথে হয় কেমন লাগে বলেন?
eআরকি: সহমত ভাই, এমন নির্মমতা মেনে নেওয়া যায় না। তবে শুনেছি গেস্টরুমে নাকি এর চেয়েও বেশি হয়?
ছাত্রনেতা: কী বলেন এসব! গেস্টরুম শব্দটার মধ্যেই তো একটা আদর অ্যাপ্যায়ন ব্যাপার রয়েছে। সেখানে এসব মারধোর হতে যাবে কেন? আমরা জুনিয়রদের নিয়ে এসে একটু খাতির যত্ন করি, ম্যানার শেখাই, পাশাপাশি তাদের মধ্য থেকে ভবিষ্যতের লড়াকু সৈনিক খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। যাইহোক আমরা মূল প্রসঙ্গ থেকে সরে যাচ্ছি। দীপ্ত কন্ঠে বলতে চাই, দোষীর যথাযথ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা টেন্ডারবাজিতে আর নামছি না।
eআরকি: হায় হায় বলেন কী? এতবড় স্যাক্রিফাইস করবেন?
ছাত্রনেতা: না করে উপায় আছে বলেন? এভাবে কেউ মারে? ক্যাম্পাসে আমাদের কথায় বাঘ মহিষে এক ঘাটে জল খায়। যদিও ক্যাম্পাসে বাঘ, মহিষ বা ঘাট কোনোটাই নাই, হে হে হে, মেটাফোর হিসেবে বুঝাইলাম। বোঝো নাই ব্যাপারটা।
eআরকি: কিন্তু হারুন সাহেব তো নিজেও আপনাদের সংগঠনের কর্মী ছিলেন।
ছাত্রনেতা: no comments
eআরকি: আপনাদের ক্যাম্পাসের সা-সপ কিন্তু বেশ ভাল, সা-সপ থেকে মনে এলো ভিসি সাহেবের বক্তব্য কী এই ব্যাপারে?
ছাত্রনেতা: উনি ভালো মানুষ, উনি সবসময় আমাদের পক্ষেই থাকেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন