শীতকালের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক কোনটি? অনেকেই হয়ত অনেক কিছু বলবেন, তবে শীতকালে টয়লেটে গিয়ে হাইকমোডের সিটে বসার আতঙ্কে ভোগেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে! শীতের দিনে কমোডের সিটে বসার ভয়ে বাথরুম চেপে রাখা লোকজনও পাওয়া যাবে। কারো যদি হার্টের অসুখ থাকে, শীতকালে তার হাইকমোডের সিটে না বসাটাই ভালো। তবে হার্টের অসুখ যদি আপনার না থাকে, একটু চালাক হলেই কিন্তু আপনি শীত-ঠান্ডা সবকিছু উপেক্ষা করে আরামসে কমোডে বসতে পারবেন। এই শীতের সো*নে খুব কষ্টে হাইকমোডে বসে আমরা ভেবে বের করেছি এমনই কিছু নিনজা টেকনিক। পড়ুন এবং এক্ষুনি বাথরুমে ছুটে যান, নির্ভয়ে বসে পড়ুন, ত্যাগের সুখে হারিয়ে যান নিশ্চিন্তার এক জগতে!
১# নির্গমন পথে ছিদ্রযুক্ত একটা বিশেষ মডেলের পরিধানযোগ্য প্যান্ট বানাতে পারেন। খেয়াল রাখবেন প্যান্টটি যেন কয়েক স্তর বিশিষ্ট মোটা হয়। প্যান্ট এমনভাবে বানান, যেন কমোডে বসলে আপনার শরীর কমোডের স্পর্শে না আসে, আপনার উরু-পশ্চাৎ ও কমোডের মাঝে থাকবে কয়েক স্তর বিশিষ্ট বিশেষ প্যান্টটি, কিন্তু বিশেষ জায়গায় ছিদ্রের কারণে জৈবিক কাজটিও ঠিকভাবেই শেষ করতে পারবেন।
২# ব্যবহার করতে পারেন সম্মোহনী শক্তি। পুরোনো কোন সুখে-দুখের কথা মনে করে নস্টালজিয়ার সর্বশেষ পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে যান কিংবা ফেসবুকিং করতে করতে একদম অন্যমনস্ক হয়ে টুপ করে কমোডে বসে পড়ুন। মন অন্যদিকে থাকার কারণে শীত অনুভূত হবে না। যদি হালকা ছ্যাকার মতো কিছু লাগে তাহলে সাময়িক সহ্য করে মনোযোগ অন্যদিকেই রাখুন।
৩# কমোডের তাপমাত্রা রেকর্ড করুন। এরপর আপনার রুমের তাপমাত্রাকে কমোডের তাপমাত্রার চেয়ে কয়েক গুণ নিচে নিয়ে যান। বেশি ঠান্ডা স্থান থেকে তুলনামূলক কম ঠান্ডা স্থানে গেলে তাপগতিবিদ্যার সূত্র অনুযায়ী গরম লাগার কথা। সুতরাং তখন আপেক্ষিকভাবে কম ঠান্ডা কমোডে বসলে আপনি কমোডের ঠান্ডাটি টেরই পাবেন না।
৪# মাতালদের নাকি কোন কিছুর হুশ থাকে না। কমোডে বসার আগে ভালো করে ড্রাংক হয়ে নিতে পারেন। এরপর কাজ করবেন, কিন্তু টের পাবেন না। তবে ড্রাংক হওয়ার পর কমোডে বসতে কারো সাহায্য নিন।
৫# কমোডে বসার আগে আগে মাথায় ট্যাংকির জমানো এক মগ পানি ঢালুন অথবা কমোডে বসে বাথরুমের ঝর্ণাকে আপনার মাথা বরাবর সেট করে ছেড়ে দিন। এরপর আপনি অটো লাফাবেন। আর লাফালাফির ধাক্কায় কই বসলেন না বসলেন বুঝতেই পারবেন না। সব অটো হবে অটো!
৬# প্রচুর ঝাল খান। একদম মাত্রাতিরিক্ত। জানেনই তো, ঝাল খেয়ে টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে কী দশা হয়! সেই দশায় কমোডের ঠান্ডা কোন ব্যাপারই না। দেখবেন আপনার পশ্চাৎদেশের গরমে কমোডই উল্টা গরম হয়ে গেছে...
৭# ‘পোলা তো নয় যেন আগুনেরই গোলা রে’ মমতাজের এই গানটা শুনেছেন তো? মমতাজের কাছ থেকে আগুনের গোলা এই পোলার সন্ধান নিতে পারেন। এরপর এই আগুনের গোলাকে টয়লেটে দাঁড় করিয়ে কমোডে বসুন। টয়লেটে একটা আগুন আগুন পরিবেশ তৈরি হবে, কমোডে বসতে সমস্যা হবে না।
৮# পলিথিন বা অন্য কোন মাধ্যমকে থার্ড পার্টি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মানে কাজ সারবেন এই থার্ড পার্টির মধ্যে, এরপর সেটা শয়তান কমোডের মুখে ছুড়ে মারবেন। কমোডের সংস্পর্শে আর যাওয়া লাগবে না।
৯# টয়লেটে বসার আগে হেডফোনে মাহফুজুর রহমানের গান শুনতে পারেন, এই অত্যাচার সহ্য করার পর আর কোন কষ্টই কষ্ট মনে হবে না।
১০# কোনো উপায়েই কাজ না হলে কমোডে কিছু কেরোসিন ঢালুন, এরপর আগুন ধরিয়ে দিন। এরপর সেই উষ্ণ ধোয়া ওঠা কমোডে বসে পড়ুন। তবে ইয়ে, একটু সাবধানে বসবেন, স্পর্শকাতর কোনো জায়গায় যেন আগুন না ধরে যায়!