শাবিপ্রবিতে যেবার ব্যবহৃত কনডম ছিনতাই হলো

৪২৪৫ পঠিত ... ০৬:০৪, জুলাই ২৬, ২০১৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াসমীন হক তাঁর 'সাস্টে ২২ বছর' বইয়ে লিখেছেন কনডম ছিনতাইয়ের এই ঘটনা--

'নাজমুল আসহাব তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। একদিন তিনি এসে জাফরকে (মুহাম্মদ জাফর ইকবাল) বললেন যে শিবিরের ছেলেরা এসে তার কাছে অভিযোগ করেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছেলে এবং মেয়েদের ভেতরে 'অসামাজিক ঘটনা' ঘটছে। তারা বলল যে মেয়েরা এবং ছেলেরা লাইব্রেরির অন্ধকার জায়গাগুলোতে বসে এবং সেখানে অসামাজিক কর্মকান্ড করে এবং প্রমাণ হিসেবে সেখানে কনডম পড়ে রয়েছে।

নাজমুল আসহাব সাহেব একেবারে হতভম্ব হয়ে গেলেন, তিনি এই বিষয়টা কেমন করে সামাল দেবেন? জাফর নাজমুল আসহাবকে বলল যে এটা হতেই পারে না। এটা নিশ্চয় মিথ্যা রটনা। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা মরে গেলেও এমন কাজ করতে পারে না। সে বলল, একজন সুইপার নিয়ে আসা হোক, সে যেন ওই কনডমগুলো সংগ্রহ করে, তারপরে সেটা একটা ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হোক। দেখা যাক এটি সত্যি সত্যি ব্যবহৃত হয়েছে কিনা।

ঠিকই একজন সুইপার আনা হল। সে সব কনডম জড়ো করে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে প্রক্টরের অফিসে নিয়ে যাচ্ছিল তখন শিবিরের ছেলেরা এসে এই সুইপারের হাত থেকে সেই কনডমের ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে চলে গেল! বোঝা-ই যাচ্ছে যে তারাই এই কনডমগুলো সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছিল। তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি যে এগুলো কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস করার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হতে পারে! আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও কখনো এরকম ঘটেনি যে একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এসে 'ব্যবহৃত' কনডম ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছে!'

৪২৪৫ পঠিত ... ০৬:০৪, জুলাই ২৬, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top