(eআরকিতে প্রকাশিত বেশিরভাগ লেখাই কাল্পনিক। তাই এইসব বিশ্বাস-অবিশ্বাস যাই করেন না কেন, নিজ দায়িত্বে করবেন।)
গতকাল ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর দেশজুড়ে যখন আনন্দের বন্যা, ঠিক তখনই ধানমন্ডিতে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। ফ্রান্স প্রবাসী আধ্যাত্মিক গুরু ‘মববাবা’ পিনাকীর নির্দেশে একদল ‘মব-কামী’ তরুণ বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে একটু ‘হালাল বিনোদন’ অর্থাৎ ভাঙচুর করতে গেলে বেরসিক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। আর এতেই তীব্র অভিমানে কান্নায় ভেঙে পড়েন ডাকসু নেত্রী রাফিয়া।
এই মবের আবদার ছিল খুবই নিষ্পাপ। ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়ি ভাঙচুর করে তারা একটু চিল করবে! কিন্তু মাঝে ঝামেলা বাধে বেরসিক পুলিশ! তারা কিছুতেই মব নিয়ে আরেকজনের সম্পত্তি ভাঙচুর করতে দিবে না।
কয়েক দফায় ভাঙচুরের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসেন ডাকসু নেত্রী রাফিয়া। তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, ‘আমরা তো বেশিক্ষণ ভাঙচুর করব না, জাস্ট ৫ মিনিট! এটা আমাদের জুলাই স্পিরিট!’ কিন্তু পাষাণ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মন গলে না। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, অন্যের সম্পত্তি ভাঙচুর করা বেআইনি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন ‘ব্যাকডেটেড’ কথাবার্তায় প্রথমে হতভম্ব ও পরে ক্ষিপ্ত হয়ে যান রাফিয়া। একপর্যায়ে আবেগের বাঁধ ভেঙে গেলে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। অশ্রুসজল চোখে তিনি বলেন, ‘আপনারা এত টক্সিক কেন? আমাদেরকে প্লিজ একটু ভাঙচুর করতে দেন! ভাঙচুর করা আমাদের ‘মব-অধিকার’ (Mobaadhikar)! স্বাধীন দেশে সেই অধিকার থেকে আপনারা আমাদেরকে বঞ্চিত করতে পারেন না!’
পুলিশ যখন জানায়, রাষ্ট্র আমাদেরকে এসব ঠেকানোর জন্যই নিয়োগ দিয়েছে, তখন রাফিয়া আরও ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘আমরা ডাকসু, আমরাই তো রাষ্ট্র! আমরা যা বলব, সেটাই আইন’। জুলাইয়ে কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছি শুধু ট্রাফিক রুলস আর আইনের শাসন মানার জন্য? স্বাধীন দেশে যদি একটু আরাম করে মবই করতে না পারলাম, দু-চারটা বাড়ি ভাঙচুর করতে না পারলাম, তাহলে এই স্বাধীনতা দিয়ে আমরা কী করব?’
মব করতে না দিলে তিনি মবস্টার জুবায়ের, মোসাদ্দেক ও সর্বমিত্রকে কল দিয়ে ঘটনাস্থলে এনে ‘লাইভ মব’ করার হুমকিও দেন।
এদিকে ছোটবোন রাফিয়ার এমন কান্না দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। নিজের ভেরিফাইড ফেক আইডি থেকে এক ফেক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের ছোটবোন রাফিয়া একটু আবদার করেছে, ওর বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু চিল করবে, একটু মব করবে, একটু ভাঙচুর করবে! পুলিশ কোনোভাবেই তা করতে দিল না! এরা তো স্বৈরাচারের পুলিশ! এদের বিচার না হলে আমরা ক্যাম্পাসে গিয়ে আবারও কোনো নিরপরাধ মানুষকে ‘টোকাই’ ট্যাগ দিয়ে পিটাব। দেখি আমাদের কে ঠেকায়!’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, কান্নারত রাফিয়াকে সান্ত্বনা দিতে সাদিক কায়েম তাকে নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে রওনা হয়েছেন। যাওয়ার আগে তিনি রাফিয়াকে বলেন, কান্না করো না আপু! ৩২-এ মব করতে দেয় নাই তো কী হয়েছে? চলো, আমরা টিএসসিতে মব করি। নিজেদের ‘মজলুম’ ঘোষণা করে কিছু ফকির, গৃহহীন আর বাদামওয়ালাকে পিটাব! দেখবা তোমার মন ভালো হয়ে যাবে।


