বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এখন থেকে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট-ফ্যানদের জন্য বীজগণিত শেখা বাধ্যতামূলক। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, ম্যাচে নানা রকম হিসাব কষতে গিয়ে খেলোয়াড় ও দর্শক দুই পক্ষই চরম বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছে।
বিসিবির এক কর্তা জানান, প্রতিটি টুর্নামেন্টে মাঠের খেলার চেয়েও আমরা বেশি অংক খাতায়, ক্যালকুলেটরের বুকে। প্রতিটি ম্যাচের পরই নানান হিসাব, নানান সমীকরণ! সব মিলিয়ে অংকে ভালো না হলে বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখে মজা পাওয়া যায় না! উত্তেজনা নাই! তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অভিনব এই উদ্যোগে ক্রিকেটাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এক তরুণ ব্যাটার বলেন, আমার কাছে লাস্ট ওভারে ১৫ রান থেকে ১২ রান নামানো যতটা কঠিন, বীজগণিতের ‘x²+2x+1=0’ সমাধান করা তার চেয়েও কঠিন। তবে কোচ বলেছেন, যদি ডেরিভেটিভ বের করতে পারি, তাহলে ফাইনাল স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া সহজ হবে।
অন্যদিকে, গ্যালারির এক উত্তেজিত ফ্যান জানালেন, আগে শুধু ক্রিকেট বুঝলেই খেলা দেখতাম, এখন নাকি অঙ্ক বুঝতে হবে। কালকে গ্যালারিতে বসে ক্যালকুলেটর নিয়ে গেলাম, পাশে বসা কাকা বলল—‘ভাই, স্কোরবোর্ডে রান দেখেন, x-এর মান বের করার দরকার নাই।’ তবুও আমি বিশ্বাস করি, কোয়াড্রাটিক ইকুয়েশন জানলেই সুপার ফোরের হিসেব মিলানো যাবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিসিবির সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। স্কুল-কলেজে আলাদা একটি বিষয় চালু হবে—’ক্রিকেট বীজগণিত’। সেখানে পড়ানো হবে, যদি শ্রীলঙ্কা ৩ ওভার বাকি থাকতেই আফগানিস্তানকে হারায় তাহলে বাংলাদেশে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা কত পার্সেন্ট!
আরও কিছু অংক থাকবে এমন, যদি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল বার্সেলোনাকে হারায় তাহলে বাংলাদেশ স্রোতের বিপরীতে কত মিনিট হামাগুড়ি দিলে সুপার ফোরের বন্দরে পৌঁছাতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে দর্শকরা আর কখনোই বিভ্রান্ত হবে না যে ম্যাচটা হাতের নাগালে নাকি হাতছাড়া হয়ে গেছে। তবে শঙ্কা আছে—বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সমীকরণে এতটাই ব্যস্ত হয়ে যাবে যে রান তোলার চেয়ে ‘x-এর মান’ বের করতেই বেশি সময় ব্যয় করবে।