প্রকাশ্য নিয়ে কোন কথা নাই, কিন্তু গুপ্ত রাজনীতি বন্ধের নিন্দা জানাই—চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

৪৫ পঠিত ... ১৭:৩৭, আগস্ট ০৯, ২০২৫

গতকাল রাতে ঢাবি প্রশাসন এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে গুপ্ত ও প্রকাশ্য উভয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়াটি এসেছে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রাক্তন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য-এর কাছ থেকে।

সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত এক জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধে আমার কোন কথা নাই, ওটা তো সবাই করে। কিন্তু গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ? এটা তো আমাদের ঐতিহ্যের উপর সরাসরি আঘাত।  শিবিরের গুপ্ত রাজনীতির বদৌলতেই আমাদের নাম এখনও বাংলার মুখে মুখে, এখন গুপ্ত রাজনীতি বাদ দিলে আমাদের কী হবে? আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এছাড়া মৌর্য সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনই হয়েছিল গুপ্ত কর্মকাণ্ডের উপর ভর করে। সে যুগে চাণক্যের গোপন ষড়যন্ত্র আর গুপ্ত নীতির মাধ্যমে নন্দবংশকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েই তো আমি বসেছিলাম সিংহাসনে। এখন ঢাবি যদি গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করে দেয়, ভবিষ্যতের চন্দ্রগুপ্তরা জন্মাবে কোথায়? আশা করি ঢাবি ভিসি একান্তে পিংক ফ্লয়েড শুনতে শুনতে ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্ত রাজনীতি করা এক ছাত্র আমাদের বলেন, আমরা বুঝি না, 'গুপ্ত' শব্দটা নিলে সবাই এমন লাফায় কেন। গুপ্ত মানে তো সবসময় খারাপ না। গুপ্তধন যেমন খারাপ না, গুপ্তচরও মাঝে মাঝে দেশ বাঁচায়। তাহলে গুপ্ত রাজনীতি কেন এত ভয়ংকর?

শুধু এনারাই নয় এই সিদ্ধান্তে আতঙ্কে রয়েছেন ঢাকা শহরের ‘গুপ্ত’ পদবি ধারীরাও। মোহাম্মদপুরের শ্যামল গুপ্ত নামে একজন বলেন, আমার নামের কারণে লোকে বাসে উঠতে দেয় না এখন। আমি তো ভাই রাজনীতি লোক না, শুধু নামের কারণেই আমাকে ঢাবি ক্যাম্পাসে দুইদিন ঢুকতে দেয় নাই, বাসেও উঠতে গেলে দরজা বন্ধ করে দেয়।

৪৫ পঠিত ... ১৭:৩৭, আগস্ট ০৯, ২০২৫

Top