বিশ্বের বাতাসে হঠাৎ একটা নতুন দর্শনের সুবাতাস বইছে। এ যেন বুদ্ধের করুণা আর গাঁধীর অহিংসার যুগলবন্দি—তবে এবার অনুপ্রেরণায় আছেন এক নতুন গুরু: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সম্প্রতি এক টকশোতে তিনি অতীতের সব দুঃখ-দুর্দশার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ঘোষণা দেন। ব্যস! সেই এক বাক্যে বদলে গেল পৃথিবীর ক্যালেন্ডার, কাঁপল ক্যামব্রিজ, নড়ল নাইনটিন এইটিফোর।
প্রথমেই ক্ষমা চাওয়ার লাইনে নাম লেখান চেঙ্গিস খান। দিল্লির এক মাজারে ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, যত প্রজন্ম আমার নাম শুনে গা কাঁপিয়েছে, আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি হঠাৎ একটু বেশিই তলোয়ার চালিয়েছিলাম বোধহয়। আজ জামাতের আমিরের মত আমিও ক্ষমা চাচ্ছি।
এরপর নেপোলিয়ন প্যারিসের আইফেল টাওয়ার থেকে এক ফেইসবুক লাইভে ঘোষণা দেন, ইউরোপ জেতার লোভে আমি অন্যদের কষ্ট দিয়েছি, আমি দুঃখিত। যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সবার কাছে—হ্যাঁ, বিনা শর্তে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট হিমালয় থেকে এক প্রাচীন ইনস্টাগ্রাম রিল পোস্ট করেন। ক্যাপশন:
I came, I saw, I conquered… and now I apologize. Inspired by Jamaat e Amir.
জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই শফিকুর পদ্ধতিতে পাপ ধোয়া কর্মসূচি ২০৩০ গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির অধীনে ইতিহাসের সকল বিতর্কিত চরিত্রদের নিয়ে একটি 'পাপ মোচন সেমিনার' আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে বিচারকের আসনে বসবেন—দুইজন শান্তি বাহীনির নেতা, তিনজন প্রাক্তন সাংসদ এবং একজন ফ্যাসিস্ট।
এই ক্ষমা-প্রবাহ সাধারণ মানুষকেও ছুঁয়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘুমিয়ে পড়া বাস ড্রাইভাররা এখন ঘুম ভেঙেই ঘোষণা দেন, যাত্রী ভাইরা, যারা কষ্ট পাইছেন—বিনা শর্তে মাফ চাই। দুঃখিত, মোড়টা চোখে পড়েনি।
প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে রাত ২টায় এক অদ্ভুত বার্তা চালাচালি করছে কাল থেকে। তোমার ভালোবাসার অবমূল্যায়ন করেছি, মাফ করো প্লিজ।