ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্ক এলাকায় শিক্ষার আলো ফেলে এবার বসছে কোরবানির গরু-ছাগলের বিশাল হাট। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মিলিত চেষ্টায় এই হাটের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হাটের আয়োজকরা বলছেন, আমাদের কাছে বেশ কিছু উচ্চশিক্ষিত গরু আছে। সেগুলোকে মানুষের সামনে তুলে ধরানোর জন্যই আমাদের এই আয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস ডিপার্টমেন্টের এক সিনিয়র শিক্ষক জানান, আমরা তো আগে থেকেই শুনে আসছি, টার্কে 'হাইব্রিড' ঘুরে বেড়ায়। তাই ভাবলাম, এবার হাইব্রিড গরুও আনাই, যেন সবকিছুর ভারসাম্য থাকে।
হাটে থাকবে দেশি-বিদেশি জাতের মেধাবী গরু-ছাগল। রিসার্চার, পিএইচডি হোল্ডার, গ্রাজুয়েট নানান শ্রেণীর গরু ও ছাগল থাকবে। তবে হাঁটের কোয়ালিটি বজায় রাখার জন্য সিজিপিএ ৩ এর নিচে কোনো গরুকে হাঁটে উঠানো হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ইতোমধ্যে বানানো হয়েছে টেকনিক্যাল গরু পার্কিং জোন। গরুগুলোর জন্য থাকছে আলাদা নাম —ল্যাম্বরগিনি গোট, টপার গরু, ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট মহিষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র অবশ্য এই আয়োজনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এক পরিবেশবাদী শিক্ষার্থী বলেন, এভাবে গরু-ছাগল আনলে ক্যাম্পাসে ঘাস থাকবে না, টার্কের বাইরের ক্যান্টিনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাটে যারা সিজিপিএ ৩.৫০-এর নিচে, তারা নিজেদের GPA দিয়ে একেকটা গরু বা ছাগলের দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। এক ছাত্র জানান, আমার GPA ২.৭৫। তাই আমি একটা ছোট ছাগল নিচ্ছি, তবে আমি তাকে পড়াতে বসিয়েছি, আগামী সেমিস্টারে গরু হয়ে উঠবে।
হাটের উদ্বোধন করবেন এক প্রাক্তন ছাত্র, যিনি বর্তমানে ‘ছাগলরূপী লিডারশিপ’ নামে একটি স্টার্টআপ চালাচ্ছেন। হাট চলবে চাঁদ দেখা পর্যন্ত, অথবা ফাইনাল পরীক্ষা পর্যন্ত — যেটা আগে আসে।