রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই ১৮৯০ সালেই জানতেন মঙ্গলে প্রাণ আছে, পানি আছে

৪০০ পঠিত ... ১২:৫১, মে ০৮, ২০১৯

মঙ্গল গ্রহে পানির খোঁজ পাওয়া যায় কয়েকদিন পরে পরেই। সেই নিয়ে সারা পৃথিবী হয় উত্তেজিত! বিজ্ঞানীরা প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত, ধার্মিকেরা ধর্মগ্রন্থে এর পূর্বাভাস খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত। কিন্তু এক শান্তিনিকেতনে কোন উচ্চবাচ্য হয় না কখনো। কারণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই ১৮৯০ সালেই মঙ্গলে পানি দেখেছিলেন। কবিগুরু বলে কথা, পানির খোঁজ পেয়েই মনের আনন্দে তিনি গেয়ে উঠলেন--

অর্থাৎ কী আনন্দের ব্যাপার! মঙ্গলে (পানি) আছে--ইহাই সত্য। সেই আমলের বৈজ্ঞানিক গোপনীয়তার কথা কবি জানতেন, তাই আবিষ্কারের কথা সাংকেতিক ভাষায় লিখতে থাকেন। নইলে ইহুদী নাসারারা সেইটা চুরি করে নিজের নামে ছাপিয়ে দিবে। তাই হয়ত তিনি এক্সপ্লিসিটলি পানি শব্দটা লিখে যান নাই। কিন্তু কবিতার পরেও আরো কয়েক জায়গায় তিনি এর ইশারা দিয়ে গেছেন। 

বিজ্ঞানী মাত্রই জানেন যে আবিষ্কারের সাথে এও বলতে হয় কি প্রক্রিয়ায় আবিষ্কার করা হয়েছে। যেন অন্য কেউ চাইলে তা পুনরায় করে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। তাই এর পরেই তিনি গাইলেন যে কিভাবে তিনি এই আবিষ্কার করলেন--

অর্থাৎ মঙ্গল যখন আকাশে উদ্ভাসিত হলো, তখন কবি আকাশের দিকে তাকালেন, আর তখনই ব্যাপারটা দেখতে পেলেন। এই আবিষ্কারের গুরুত্ব অনুধাবন করেই কবি বুঝলেন যে বিশ্বজগতে এই সংবাদের গুরুত্ব কতখানি হতে পারে। সমগ্র বিশ্বে তিনি বিখ্যাত হবেন আর টাকা-পয়সা, মণি-মুক্তা, যশ-খ্যাতি সবই তার পায়ে এসে লুটাবে। তাই তিনি বললেন--

কিন্তু হায়, সেই আমলের অনুন্নত বিজ্ঞানের কারণে কবির এই আবিষ্কার অন্তরালেই থেকে যায়। এর পরেই কবির মাথায় নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আসলো। উনি বুঝতে পারলেন, এই যে আমাদের বিশ্বব্রহ্মান্ড। এরা স্থির না। বরং এরা শূণ্যের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে অবিরত। খিটমিটে পদার্থ বিজ্ঞানীরা কবিতা পড়লে বহু আগেই কবিগুরুর থেকে এইটা জেনে নিতে পারতেন। অথচ তারও প্রায় ৩০ বছর পরে বিগব্যাঙ থেকে সম্প্রাসারণশীল মহাবিশ্বের ধারণা নতুন করে প্রবর্তিত হয়। কিন্তু দেখুন কবি কিন্তু ঠিকই লিখে গেছিলেন--

অর্থাৎ গ্রহ, তারকা, চাঁদ, সূর্য সবাই দৌড়ের উপরে আছে। দ্রুত বেগে ব্যাকুল হয়ে ছুটে চলেছে। কবির মন, সদা চঞ্চল। অস্থিরমতি কবির এই পর্যায়ে আবার মনে পড়ে মঙ্গলের কথা। তখন তিনি আবার ইঙ্গিত করেন--

অর্থাৎ মঙ্গলে যে শুধু পানি আছে, তা না। প্রাণও আছে। তাদের তিনি দেখেছেন। তাদের তিনজনকে কবি নাম দিলেন  মোহন, মধু আর শোভা। তারা ফুল, লতা-পাতা দিয়ে তাদের লজ্জ্বা নিবারণ করে। তারা দেখতে সুন্দর। অবশ্য কবি মানুষ তার চোখে সবাই সুন্দর। মঙ্গলের যেই পানি নিয়ে এত হাউকাউ, তারা সেই পানি খায় এবং সেই পানিতে গোসল করে। যদিও জিনিসটা স্বাস্থ্যকর না। তাই পানি খাওয়ার আগে পানি তারা কিরণ অর্থাৎ সৌর শক্তি দিয়ে ফুটিয়ে নেয়। মনোযোগী পাঠক হয়ত লক্ষ্য করবেন যে কবি বলেছেন, অক্ষয় কিরণ। অর্থাৎ সৌর শক্তি যে শক্তির নিত্যতা সূত্র সমর্থন করে, সেইটার সংকেত দিয়ে কবি বুঝাতে চেয়েছেন যে সৌর শক্তি থেকে অন্য শক্তির রুপান্তর সম্ভব। কিন্তু এটা আজকের আলোচ্য বিষয় না বলে, আমরা আর বিস্তারিত সেই আলাপে গেলাম না। সুতরাং নাসাসহ সকল বৈজ্ঞানিক সংগঠনের কাছে আমাদের আর্জি, কবিগুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তার আবিষ্কারের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হোক। 

৪০০ পঠিত ... ১২:৫১, মে ০৮, ২০১৯

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top