কলকাতা থেকে নতুন গুড়ের সন্দেশ নিয়ে এসেছিলেন বাবা আমাদের জন্য। সকালে উঠে হাতমুখ ধুতেই মা দুটো বড় বড় তালশাঁস সন্দেশ খেতে দিলেন আমায়। অমনি আমি সেই সন্দেশ হাতে করে ছুটেছি রিনির বাড়ি। রিনিকে ভাগ না দিয়ে খাওয়া যায়? আমি গিয়ে হাতের মুঠো খুলে দেখালাম রিনিকে। তক্ষুনি সে আমার হাত থেকে নিয়ে দুটো সন্দেশই মুখে পুরে দিয়েছে।
'ওমা, আমি যে একদম খাইনি রে এখনো।' বলতেই না, সে মুখ থেকে বার করে আমার হাতে নয়, পাখি-মা তার ছানাকে যেমন করে খাওয়ায়, তেমনি করে তার মুখের গ্রাসের খানিকটা আমার মুখের মধ্যে পুরে দিয়েছে। মুখের ভেতরে মুখ ঢুকিয়ে।
সেই প্রথম চুমো পাওয়া আমার জীবনে। সন্দেশের সঙ্গে মিশিয়ে চুমো খাওয়া সেই! প্রথম অমৃত আস্বাদের জন্য আমি রিনির কাছে চিরঋণী।
প্রথম চুমু ওমন করে সন্দেশের সঙ্গে মিশিয়ে পেয়েছিলাম বলেই কি ওই চুমু জিনিসটা এমন মিষ্টি থেকে গেলো আমার কাছে চিরদিন? নাকি, চুমোর সঙ্গে মাখানো ছিল বলেই কি যতো মেঠাই এমন মিঠে লাগে আমার কাছে?
তাই কি আমি এমন সৃষ্টিছাড়া মিষ্টিখোর হয়ে গেলাম জন্মের মতই? কে জানে!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন