প্রথম প্রেম দিবসে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন পুলক৷ অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, প্রথম প্রেমের সাথে প্রথম জেল হাজত বাসও হয়ে গেলো তার৷
ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মোহাম্মদপুর। উত্তরার পুলক আজ সকালে পত্রিকা পড়ে জানতে পারেন যে, আজ প্রথম প্রেম দিবস। সাথে সাথেই নিজের 'প্রাক্তন প্রেমিকা' খাতা খুলে অনেক পরিশ্রমের পর নিজের প্রথম প্রেম হিসেবে আংশিক সন্দেহ রেখে ফারিয়াকে সিলেক্ট করেন৷ এরপরই দৌঁড়ে মোহাম্মদপুরে ফারিয়ার শ্বশুর বাড়িতে চলে যান তিনি।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে সেখানে৷ পুলক গিয়ে দেখেন ওটা ফারিয়া না, ওটা আসলে সাদিয়া৷ সাদিয়া পুলকের পঞ্চম প্রেম ছিলো। হিসেবের গরমিল ও দীর্ঘসময় পূর্বের স্মৃতি মনে করতে না পারায় পুলক এমন ভুল করে বসেন। তবে ততক্ষণে ঘটে গেছে অনেক কিছু।
প্রথমেই সাদিয়াদের বাসায় এসে ফারিয়াকে খোঁজায় পুলককে ফ্রড ভেবে এলাকাবাসী একবার গণধোলাই দেয়৷ মোবাইল ও মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেয়। গণধোলাই খাওয়ারত অবস্থায় সাদিয়া পুলককে চিনতে পেরে পানি এনে খাওয়ায়৷ এরপর যখন জানতে পারে, পুলক ফারিয়ার সাথে দেখা করতে এসেছে সাথেসাথেই সাদিয়া আরো এক দফা উত্তম মাধ্যমে দেয় পুলককে৷
ঘটনা এখানেও শেষ হতে পারতো৷ কিন্তু দুই দফা মার খেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারানো পুলক 'সাদিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি' জপতে জপতে মোহাম্মদপুরের রাস্তায় এলেমেলো হাটতে থাকে৷ তখনই ঘটনাক্রমে সাদিয়ার স্বামী পুলককে আরো এক দফা মার দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনাটি বিষয়ে জানতে চাইলে সাদিয়ার স্বামী জানান, 'বাড়ি গিয়ে সাদিয়ার কাছে শুনলাম, হালায় নাকি ক্লাস টু-তে থাকতে সাদিয়ার লগে রান্নাবাটি খেলছিলো৷ আর ওয় ওইটারের প্রেম ধইরা বইসা আছে৷ তার উপর আসছে মোহাম্মদপুরে। হালারে যে মাইরা ফেলি নাই এইটাই ওর সাত জনমের ভাগ্য।'
জেলহাজতে অবস্থানরত পুলকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, 'এটাই আসলে ভাগ্য৷ প্রথম প্রেমিকার লগে দেখা করতে গিয়া প্রথম গণধোলাই খাইলাম, প্রথমবারের মত জেলও খাটলাম। আমার ডেস্টিনি পূর্ণ হলো।'
